তিনি সুদিন হারিয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু নামটা যে মৃত্যুঞ্জয়, দু:সময়কে জয় করতে জানেন তিনি। অনবদ্য সেই জয় আসল খোদ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী কিংবা দূর্বার রাজশাহী – সময় পক্ষে ছিল না কারোরই। খেলা শুরুর ঘণ্টা তিনেক আগে দলের দেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের মিমাংসা হয়। বিদেশিরা তো বয়কটই করে রংপুরের বিপক্ষে এই ম্যাচ।
এই অবস্থায় দাঁড়ি দল হিসেবে যে স্টেটমেন্টটা রাজশাহীর দেওয়া উচিৎ ছিল, সেটা তারা দিতে পেরেছে এই মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বদৌলতে। নতুন বলে অনবদ্য ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। প্রথম তিন ওভারেই নেন চার উইকেট। আকবর আলীর সাথে তাঁর জুটি দারুণ জমে উঠেছিল। আর সেই লাভের গুড়ই খায় রাজশাহী।
শুরুর সেই চাপটা শেষ পর্যন্ত রাজশাহী ধরে রাখে। বাঁচিয়ে রাখে কোয়ালিফায়ারের আশা। আশার ভেলা ভাসিয়ে রাজশাহীর নাবিক একজনই – মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
অথচ, দূর্বার রাজশাহীর মালিক জানতেন না মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী কে! তিনি জানতেন না তাঁকে কত টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া উচিৎ। বিপিএলের মাঝপথে এসে যখন দলের বাকি ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিকের ২৫ শতাংশ বুঝে পেল, তখন তাসকিন একটা পয়সাও পাননি।
শুধু কি রাজশাহী, দেশের ক্রিকেটও ভুলতে বসেছিল এই মৃত্যুঞ্জয়কে। তা না হলে কি আর বিপিএল দিয়ে জাতীয় দলের টিকেট পাওয়া মৃত্যুঞ্জয় বিপিএল ড্রাফটে অবিক্রিত থাকেন। কোনো দলই আগ্রহী ছিল বা মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাপারে।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ছিল না। আগ্রহ থাকার কারণও নেই। তাই একটা স্টেটমেন্ট দেওয়া মৃত্যুঞ্জয়ের জন্যও খুব জরুরী ছিল। কে ভেবেছিল, দলের এমন বাজে একটা সময়ে এমন অভাবনীয় বোলিং দাপট নিয়ে অপেক্ষা করছেন মৃত্যুঞ্জয়।