মিরপুরে তুফানের প্রলয়

তিনি আসলেন, দেখলেন, দল না জিতলেও, তিনি ঠিকই মন জিতে নিয়েছেন। ঢাকা হেরেছে ঠিকই, কিন্তু দিনের নায়ক শাকিব খান, দ্য নাম্বার ওয়ান। তাঁর প্রতিটা চলনে, প্রতিটা কাজে ছিল শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ। যেন বিপিএলের স্রেফ এক ম্যাচ ছাপিয়ে মিরপুরে বয়ে গেল এক তুফান, আর সেই তুফানের হুঙ্কারে ‘বরবাদ’ হয়ে গেল সকল ক্রিকেটীয় গ্ল্যামারের ঝলক।

অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যখন পারিশ্রমিক নিয়ে ইস্যু হয়, কেউ যখন বলেন – পারিশ্রমিক পেতে তাঁকে নাকি সন্তুষ্ট করতে হবে – ঠিক তখনই শাকিব খানের মত একজন চলে আসেন মাঠে। যে ম্যাচে দলের বিদায় নিশ্চিত, সেখানে তিনি এসে বলেন, ‘সন্তুষ্ট করার কাজটা শুধুই আমার!’

ঢাকা ক্যাপিটালসের শেষ ম্যাচ, তাঁদের জন্য স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচ। চাইলে লড়াই করে মানসিকতাকে উপরে তোলা যেত। তবে, তানজিদ হাসান তামিম বাদে কেউ আসলে সেই চেষ্টাটাও খুব বেশি করেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ একাই ম্যাচটা বের করে নিয়েছেন ব্যাট হাতে।

তামিমের হাফ-সেঞ্চুরি, সাব্বিরের ফিনিশিং প্রচেষ্টা, মুস্তাফিজের বোলিং – কোনো কিছুতেই ভাগ্য ফিরে আসেনি ঢাকা ক্যাপিটালসের। বিপিএল মিশন তাদের শেষ। তবে, ঢাকা ক্যাপিটালসের তুফান কি আর এখানেই থামে!

ডাগ আউটে যে বসে আছেন দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। তিনি বাংলাদেশের মেগাস্টার। শাকিব খান সবাই হতে পারেন না। শাকিব খান হতে অ্যাটিটিউড লাগে, চোখের দৃষ্টি লাগে, অ্যাকশন, স্পিড – সব লাগে।

ম্যাচ শেষ হয়ে গেল, ব্যর্থ হয়ে ফিরছেন ঢাকার খেলোয়াড়রা। কিন্তু,  একি! ঢাকার গ্যালারি তখন উত্তাল! গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের দিকে একের পর এক জার্সি ছুড়ে মারছেন শাকিব খান। সিনেমা নয়, বাস্তব। স্বপ্নের মেগাস্টার এখন চোখের সামনে। গ্যালারির সাথে তাল মেলালেন শাকিব, হাততালি দিলেন। অভিবাদনের জবাব দিলেন। ক্রিকেট, বিনোদন আর আবেগ মিলেমিশে একাকার হল!

ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। ছবি তুললেন মিরাজের সাথে। না, শাকিব খানও মানুষ। মাঠ ছেড়ে বের হওয়ার সময় তাঁর পেছনে মানুষের ঢল নামল। বোঝা গেল তিনি দূর আকাশের কেউ নন, আমার-আপনার মতই মাটির মানুষ!

Share via
Copy link