ম্যাচটা আসলে টসের সময়ই জিতে গেছে ভারত। হ্যাঁ, রোহিত শর্মা টস হারলেও জয় তাঁরই হয়েছেন। কারণ, দুবাইয়ে তিনি খেলতে নেমেছেন চার স্পিনার নিয়ে। নিউজিল্যান্ডকে তিনি হারিয়েছেন স্কোরবোর্ডের চাপে।
রোহিতের অধিনায়কত্বের মাস্টারস্ট্রোকের ছোঁয়া পেয়েছে তাঁর বোলিং লাইন আপ। বোর্ডে যখন ২৫০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত – তখন তিনি আক্রমণ শুরু করেছিলেন পেসারদের দিয়েই। দুই পেসার মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া খারাপ করেননি। হার্দিক একটা উইকেটও এনে দেন।
ম্যাজিকটা শুরু হয় তখন, যখন দুবাইয়ের মহারণে আবির্ভাব হয় স্পিনারদের। সপ্তম ওভারে আসেন অক্ষর প্যাটেল। দশম ওভারে বরুণ চক্রবর্তী। একজন ফিঙ্গার স্পিনার আরেকজন রহস্য স্পিনার। কেউই রোহিতের তুরুপের তাস না তখনও, অপেক্ষায় ছিলেন কুলদ্বীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা।
রোহিত তাদের বোলিং আক্রমণে আনবেন তখন, যখন বল এবং রানের ব্যবধান কমে যাবে। জাদেজা রানের গতি আরও শুকিয়ে দিবেন, কুলদীপ, বরুণরা স্কোর বোর্ডের চাপকে কাজে লাগিয়ে উইকেট তুলবেন। চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের ভাবনা বলে কথা!
বরুণ উইকেট এনেছেন, অক্ষর প্যাটেল মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন। ২০ তম ওভারে আসলেন কুলদ্বীপ। ২৩ তম ওভারে আসলেন জাদেজা। রান-রেট তখন বাড়ছে। ওই সময় জাদেজা এসে যখন তিন-চার মিনিটের একেকটা ওভারে দুই-তিনটি করে রান দিয়ে গেছেন টানা – তখনই হয়েছে নিউজিল্যান্ডের চূড়ান্ত বিপদ।
এক দিকে রানের চাপ। আরেকদিকে ভারতের ধুন্ধুমার স্পিন আক্রমেণ। রোহিত শর্মার কৌশলের সামনে নাকাল হয়েছে নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপস ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েছেন। ডাউন দ্য উইকেটে মিড অনে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন কেন উইলিয়ামসন।
নিউজিল্যান্ড টিকতে পারেনি, আউট হয়েছে ২০৫ রানে গিয়ে। বরুণ চক্রবর্তী ফাইফার নিয়েছেন। ভারতের চার স্পিনার মিলে নিয়েছেন নয় উইকেট। সেরা দল হয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় আছে ভারত।
এই সবই সম্ভব হয়েছে স্কোর বোর্ডের চাপে। আর এই চাপটা রোহিত শর্মার চেয়ে ভাল আর কেই বা দিতে পারেন। নিজের পরিকল্পনায় শতভাগ সফল শর্মাজি কা বেটা!