বিষন্নতা উইলিয়ামসনের পরম বন্ধু

আউট হয়ে আর পেছনে ফিরে তাকালেন না। তিনি জানেন, আর ফেরার পথ নেই। তিনি প্যাভিলিয়নের পথে মাথা নিচু করে হাটতে থাকলেন।

ট্র্যাজিক হিরো হওয়াই যেন কেন উলিয়ামসনের নিয়তি। তাসমান পাড়ের ছেলেটার বিষাদই চিরসঙ্গী। লড়াই করেন, হাল ধরেন, কিন্তু নিউজিল্যান্ড নামক নৌকাটা বারংবার কোথাও একটা থমকে যায়। কখনো কখনো শিরোপার খুব কাছে গিয়ে ডুবে যায় অতল গভীরে।

ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ের মহাসমুদ্রে একাই টেনে নিলেন দলের ইনিংস। ভারতীয় স্পিনারদের একের পর এক পাহাড় সম ঢেউ ঠেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বটে। কিন্তু আরেকপাশে বৈঠা ধরার যে ছিল না কেউ। ঝড়-ঝাপটা সামলাতে সামলাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন একটা সময়ে।

তাইতো ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে এলেন, একটুখানি পালটা আঘাত করতে চাইলেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের ঘূর্ণির ঝাপটায় খেই হারালেন। স্ট্যাম্পিং আউট হয়ে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। তার নামের পাশে ৮১ রান। নিউজিল্যান্ডের নৌকা ততক্ষণে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে দুলছে এদিক ওদিক।

আউট হয়ে আর পেছনে ফিরে তাকালেন না। তিনি জানেন, আর ফেরার পথ নেই। তিনি প্যাভিলিয়নের পথে মাথা নিচু করে হাটতে থাকলেন। পথটা যেন সুদীর্ঘ! দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ভদ্রলোক সীমানায় থাকা বিজ্ঞাপনের কুশন পেরিয়ে গেলেন। পেছনে ফেলে গেলেন একরাশ হতাশা। এবারও উইলিয়ামসন পারলেন না।

যদিও সুযোগ একেবারেই ফুরিয়ে যায়নি। নিউজিল্যান্ড খেলবে সেমিফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সত্যিকারের হিরো হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলেই ব্ল্যাকক্যাপসদের ভাঙা তরী আবার পৌঁছে যাবে শিরোপার কাছে।

বিষাদ নয়, চাই নব উদ্যম, মেরামত করে বৈঠা হাতে যেতে হবে বহুদূর। ওমন বিষন্নতা উইলিয়ামসনের জীবনের অংশ। তবুও শেষবেলায় এক ফালি হাসি জায়গা পাক দেবদূতের ওই মুখশ্রীতে।

Share via
Copy link