যখন জ্বলে উঠতে হয়, তখন আগুন জ্বালতে জানেন মোহাম্মদ শামি। শুরুতে উইকেট লাগবে – শামি আছেন। স্টিভেন স্মিথ দানবীয় হয়ে উঠছেন, তাঁকে ফেরাতে হবে? শামি আছেন তো! তিনি বোল্ড করে দেবেন স্মিথকে। অজি ক্রিকেটের বরপূত্রের বেল বাতাসে ভেসে উঠবে।
শামি আছেন, শামি ছিলেন। শামি আছেন বলেই একজন পরিপূর্ণ পেসার নিয়ে খেলার সাহস দেখায় ভারত। শামি আছেন বলেই দলে চার জন স্পিনার নিয়ে খেলতে পারে ভারত। শামি খেলেন বলেই আর্শদ্বীপ দলে জায়গা পান না। শামি আছেন বলেই ফাইনাল খেলে ভারত। শামি আছেন বলেই জ্বলে ওঠে ভারত। শামি আছেন বলেই জেতে ভারত।
আইসিসি ইভেন্ট আর মোহাম্মদ শামির সাফল্য—দুটো যেন সমান্তরাল সত্য। ২০২৩ বিশ্বকাপে ছিলেন দুর্দান্ত, এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে নামার আগে ফিরলেন বড় এক ইনজুরি কাটিয়ে। ছন্দে ফেরাটা সহজ ছিল না, দীর্ঘ বিরতির ছাপ থাকারই কথা। কিন্তু শামির গল্প তো আর গড়পড়তা ক্রিকেটারদের মতো নয়, তাঁর প্রত্যাবর্তন মানেই নতুন কোনো শোকেসে পুরনো জাদুর ঝলক।
বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরু করেন পাঁচ উইকেট দিয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ যে সিরিজে ফিরেছিলেন, সেখানে বলার মত কোনো পারফরম্যান্স ছিল না। কিন্তু, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতেই শামি যেন নিজেকেই মনে করিয়ে দিলেন—তিনি এখনও বিশ্বমানের, এখনও ব্যাটারদের দু:স্বপ্ন হয়ে উঠতে পারেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই পারফরম্যান্সের পর শামিকে আর ঠিক জ্বলে ওঠার দরকার হয়নি। কিন্তু, যখন দরকার হল – তখন তিনি আবার সরব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল। তিন উইকেট নিয়ে তিনি আবার নায়ক।
শামি ভিন্ন এক চরিত্র। ইনজুরি তাঁকে পিছিয়ে দিতে পারে, ছন্দ নড়বড়ে করতে পারে, কিন্তু তাঁর বোলিংয়ের ধার কমায় না। বিশেষ করে আইসিসি ইভেন্ট এলেই তিনি অন্য আরেকজন। অন্য আরেক মানব। তিনি পেস বোলিংয়ে আছেন বলেই পথ হারায় না ভারত।