জম্পেশ লড়াইয়ের শেষটায় শিরোপা ভারতের

২০১৩ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা উঁচিয়ে ধরল ভারত। দিনশেষ রোহিত শর্মার মুকুটে যুক্ত হল আরও এক পালক।

টানটান উত্তেজনার ম্যাচ। ঠিক যেমন হওয়া উচিত ফাইনাল ম্যাচ, ঠিক তেমন একটা ফাইনালই মঞ্চস্থ হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। এক ভেন্যুতে খেলার জন্যে যতটুকু সুবিধা পাওয়ার কথা ভারতের, তেমন কিছু হতে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। তবুও দিনশেষ রোহিত শর্মার মুকুটে যুক্ত হল আরও এক পালক।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র সেই সিদ্ধান্তকে যথার্থই প্রমাণ করতে চাইলেন। তেমন একটা মুভমেন্ট ছিল না উইকেটে। বাউন্স যেমন ছিল না, ঠিক তেমননি ছিল না অসম বাউন্সও। বেশ আগ্রাসী হয়েই ব্যাট চালাচ্ছিলেন রাচিন।

সেই আগ্রাসনের আগুনে পানি ঢেলে দেন কুলদ্বীপ যাদব। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভারতীয় চায়নাম্যান। রাচিন রবীন্দ্রকে বোল্ড করেন, এরপর আবারও কেন উইলিয়ামসনকে নিজেই ক্যাচ ধরে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।

সেখানেই যেন থমকে যায় নিউজিল্যান্ডের শিরোপা জয়ের আশা। ভারতীয় স্পিনাররা সেই আশার ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরলেন। তাদেরকে আরও সহয়তা করলেন ড্যারিল মিশেল। তার ১০১ বলে ৬৩ রান ভারতের জন্যেই উপকারী ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই নেতিবাচক ইনিংসকে প্রলেপ দেন মাইকেল ব্রেসওয়েল।

তার ১৩২ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি নিউজিল্যান্ডকে লড়াই করবার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু সেই লড়াইকে একপেশে করে ফেলেছিলেন হিটম্যান রোহিত শর্মা। বিনা উইকেটে হারিয়ে ১০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় ভারত। সেই মুহূর্তে দৃশ্যপটে হাজির হন গ্লেন ফিলিপস। সুপারম্যানের মত হাওয়ায় ভেসে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ তালুবন্দী করেন। শুভমান গিলের প্রস্থানের পরের বলেই ফিরে যান চেজ মাস্টার বিরাট কোহলি।

শঙ্কা জেগেছিল ভারতের শিরোপা পরাজয়ের। ম্যাচ জমে ওঠে ৭৬ রানে রোহিত আউট হওয়ার পরে। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার ভারতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি। তিনি ম্যাচেই রেখেছিলেন তার দলকে। কিন্তু ফিফটির আগে তিনি আউট হলে আবারও ম্যাচে হেলে যায় নিউজিল্যান্ডের দিকে। সাথে অক্ষরের বিদায়ে পাল্লা বেশ খানিকটা ভারি হয় ব্ল্যাকক্যাপসদের পক্ষে।

কিন্তু ‘দ্য সাইলেন্ট কিলার’ লোকেশ রাহুল ঠিকই হাল ধরে রাখলেন। হার্দিক পান্ডিয়ার মৃদু ঝড়ের অপর পাশে দৃঢ়তার মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছেন রাহুল। নিরব ভঙ্গিমায় নিউজিল্যান্ডকে আরও একবার কান্নার উপলক্ষ তৈরি করলেন। দলকে শিরোপা জিতিয়ে তবেই তিনি মাঠ ছেড়েছেন। ২০১৩ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা উঁচিয়ে ধরল ভারত।

Share via
Copy link