চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান, অথচ পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চ দেখে সেটার বোঝার উপায় নেই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সদস্য বা সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার কেউই ছিলেন না সেখানে। আর সেটা ভালভাবে নেয়নি পিসিবি, ইতোমধ্যে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তাঁরা।
সংস্থাটির মুখপাত্র বলেন, ‘আইসিসির কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। স্বাগতিক দেশ হিসেবে পাকিস্তানের যে অন্যায় হয়েছে তাতে আমরা ক্ষুব্ধ।’
সেদিন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন পিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার সুমায়ের আহমেদ সৈয়দ। শুধু পিসিবির কর্মকর্তা নন, এই টুর্নামেন্টের ডিরেক্টরও ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে মঞ্চে ডাকা হয়নি।
এ ব্যাপারে পিসিবির সেই মুখপাত্র বলেন, ‘জনাব সৈয়দ টুর্নামেন্টের ডিরেক্টর ছিলেন, আবার পিসিবি চেয়ারম্যানের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁকে আইসিসি বাদ দিয়েছে, এটা ক্রিকেটের নীতি, ন্যায্যতার সঙ্গে বেমানান।’
আইসিসি অবশ্য পিসিবি বস মহসিন নকভিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় দুবাইতে আসতে পারেননি। সে প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁরা বলে, ‘আইসিসি শুধুমাত্র স্বাগতিক দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানদের আমন্ত্রণ করে থাকে। সভাপতি, সহ-সভাপতি, চেয়ারম্যান বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এর আওতাধীন। এদের বাইরে অন্য কেউ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে তাঁদের কখনো ডাকা হয় না।’
তবে পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব যুক্তি শুনতে নারাজ। তাঁদের মতে, স্বাগতিক দেশকে এভাবে অবহেলা করা পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ। আইসিসি আরো একবার নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ‘এটা কেবল একটি উপস্থাপনা অনুষ্ঠানের বিষয় নয় – এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শ্রদ্ধা, সততা এবং সুষ্ঠু শাসনের মত মৌলিক নীতির ব্যাপার। আমরা জানতে চাই আইসিসি কি পেশাদারিত্ব বজায় রাখবে, নাকি নির্দিষ্ট স্বার্থ ঠিক রাখার চেষ্টা করবে?’