পাঞ্জাবের হয়ে উত্তাপ ছড়ানোর অপেক্ষায়

শ্রেয়াস আইয়ারের পারফরম করা পাঞ্জাবের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত যে পারিশ্রমিক তাঁকে দেয়া হয়েছে সেটা আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাই তিনি ব্যর্থ হলেই নিন্দুকেরা ব্যাঙ্গের হাসি হাসবে সেটা নিশ্চিত। আবার দলটার অধিনায়ক হিসেবেও দেখা যেতে পারে আইয়ারকে, সেক্ষেত্রে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

২০১৪ সালের পর থেকে নকআউট পর্বে ওঠা হয়নি পাঞ্জাব কিংসের। প্রতি মৌসুমে স্কোয়াডে পরিবর্তন, নেতৃত্বে বদল, কোচিং স্টাফে বদল কেবল তাঁদের দুঃখ বাড়িয়েছে। ২০২৫ আইপিএলেও প্রায় নতুনভাবে শুরু করতে যাচ্ছে দলটা, তবে সাফল্যের ক্ষুধা আছে আগের মতই। আর স্কোয়াডে রয়েছেন এমন কয়েকজন তারকা, যারা সমালোচনার জবাব দিতে মুখিয়ে আছেন।

  • শ্রেয়াস আইয়ার (ভারত)

না, শ্রেয়াস আইয়ারকে ঘিরে সমালোচনা আপাতত নেই বললেই চলে। কিন্তু তাঁর পারফরম করা পাঞ্জাবের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত যে পারিশ্রমিক তাঁকে দেয়া হয়েছে সেটা আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাই তিনি ব্যর্থ হলেই নিন্দুকেরা ব্যাঙ্গের হাসি হাসবে সেটা নিশ্চিত। আবার দলটার অধিনায়ক হিসেবেও দেখা যেতে পারে আইয়ারকে, সেক্ষেত্রে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে দারুণ সময় পার করেছিলেন এই ডানহাতি, প্রায় ৪০ গড় আর ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৩৫১ রান। আর সম্প্রতি ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছেন টানা চারটা ম্যাচ উইনিং নক। এখন কেবল এই ফর্মটা ধরে রাখার পালা।

  • যুজবেন্দ্র চাহাল (ভারত)

জাতীয় দল থেকে বহুদূরে চলে গিয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল, ব্যক্তিগত জীবনেও উঠে বিতর্কের ঝড়। তাই তো আসন্ন আইপিএলে ভাল করাটা অনেক বেশি জরুরি তাঁর জন্য; পারফরম করতে পারলেই মাঠের বাইরের সব আলোচনা বন্ধ হবে। তাছাড়া ১৮ কোটি রুপির প্রাইজ ট্যাগ ঝুলছে তাঁর গলায়, প্রত্যাশা এরই মাঝে আকাশ ছুয়েছে।

২০২৩ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি চাহালের, তবে আইপিএলে ঠিকই পারফরম করে গিয়েছেন। গত মৌসুমে তিনি শিকার করেছিলেন ১৮ উইকেট; এবার অবশ্য সংখ্যাটা আরো বাড়ানোর দিকে নজর তাঁর।

  • গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)

২০২৪ আইপিএল বিভীষিকাময় মত ছিল গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জন্য। ৫.৭৭ গড়ে তিনি করেছিলেন সর্বসাকুল্যে ৫২ রান; তবে পাঞ্জাব ভরসা রেখেছে তাঁর ওপর। মিডল অর্ডারে বিধ্বংসী ব্যাটিং আর সময়ে সময়ে কার্যকরী পার্ট টাইম বোলিং – দলটার একাদশে এমন একজনকেই দরকার ছিল।

এখন দেখার বিষয়, এই অজি অলরাউন্ডার মাঠে কতটা দিতে পারেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে পারফরম করেন তিনি, আইপিএলে সেই অর্থে কিছু করতে পারেননি। এখন অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ একটা সুযোগ আছে তাঁর সামনে; দলটার হয়েও আগে খেলেছিলেন এই তারকা। চেনা কন্ডিশন, আবার টিম ম্যানেজম্যান্টের আস্থার হাত রয়েছে কাঁধের ওপর। জ্বলে উঠতে আর কি-ই বা প্রয়োজন?

Share via
Copy link