টি-টোয়েন্টিতে ফেরা হবে না পাক তারকাদের

বিধ্বংসী পাওয়ার হিটার হিসেবে খ্যাতি আছে ফখর জামানের, ওয়ানডেতে তাঁর স্ট্রাইক রেটও সে কথার সাক্ষী দেয়। কিন্তু বিশ ওভারের সংস্করণে কেন যেন মানিয়ে নিতে পারেননি তিনি। অনেক ম্যাচ খেললেও বলার মত পারফরম্যান্স পাওয়া যায়নি তাঁর ব্যাটে। সবমিলিয়ে ৮৪ ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি, রান করেছেন মাত্র ১৮৪৮ যেখানে ব্যাটিং গড় ২২.৮১!

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অধিকাংশ সিনিয়র ক্রিকেটারদের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার জের ধরে বড়সড় পরিবর্তনের সাক্ষী হলো পাকিস্তান। তবে এই সিনিয়র ক্রিকেটারদের এমন কয়েকজন রয়েছেন যাদের হয়তো আর কখনোই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফেরা হবে না।

  • বাবর আজম 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় হতাশার নাম ছিলেন বাবর আজম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করলেও তাঁর স্ট্রাইক রেট বিস্মিত করেছে সমর্থকদের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও তিনি পারেননি বলার মত কিছু করতে। তাছাড়া ২০২৪ সালের পর থেকে সব ফরম্যাট মিলিয়ে এই ডানহাতির ব্যাটিং গড় মোটে ৩১!

টি-টোয়েন্টিতে পরিসংখ্যান বিবেচনায় অবশ্য তিনি চলনসই, ২০২২ সালের পর থেকে ৩৩.৪০ গড় আর ১৩০ স্ট্রাইক রেটে ১৬০৩ রান করেছেন। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্সে ইম্প্যাক্ট নেই বললেই চলে, সেই সাথে অ্যাপ্রোচ নিয়েও সমালোচনা আছে। তাই মোহাম্মদ হারিস, উসমান খানরা পারফরম করলে বাবরের হয়তো আর ফেরা হবে না।

  • ফখর জামান

বিধ্বংসী পাওয়ার হিটার হিসেবে খ্যাতি আছে ফখর জামানের, ওয়ানডেতে তাঁর স্ট্রাইক রেটও সে কথার সাক্ষী দেয়। কিন্তু বিশ ওভারের সংস্করণে কেন যেন মানিয়ে নিতে পারেননি তিনি। অনেক ম্যাচ খেললেও বলার মত পারফরম্যান্স পাওয়া যায়নি তাঁর ব্যাটে। সবমিলিয়ে ৮৪ ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি, রান করেছেন মাত্র ১৮৪৮ যেখানে ব্যাটিং গড় ২২.৮১!

২০২৪ সালের জুনে থেকে অবশ্য সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দেখা যায়নি তাঁকে। আপাতত পিসিবি তরুণদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে, তাই প্রত্যাবর্তনের আশা চাইলেও করতে পারছেন না তিনি।

  • নাসিম শাহ 

আউটসুইং, ইনসুইংয়ের দামামা বাজিয়ে আগমন ঘটেছিল নাসিম শাহর। কিন্তু সেটা স্থায়ী হয়নি বেশি সময়, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে অনেকটাই ম্লান হয়ে গিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালের পর থেকে এই ফরম্যাটে তাঁর ইকোনমি নয়ের বেশি, আর স্ট্রাইক রেট ২৬.৭৫। অর্থাৎ একদিকে তিনি দু’হাতে রান বিলাচ্ছেন, অন্যদিকে ম্যাচপ্রতি একটা উইকেটও নিতে পারছেন না।

মোহাম্মদ আলী, আব্বাস আফ্রিদি ডাক পেয়েছেন কিউই সিরিজে; শাহীন শাহ, হারিস রউফ তো আছেনই। পেসাররা ভাল করলে তাই নাসিমের ফেরার পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

Share via
Copy link