দ্বৈরথ আছে, কিন্তু নেই কোন শত্রুতা। বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ নাম উচ্চারিত হলেই দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে গোটা বিশ্ব। সর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে আছে বিদ্বেষও। কিন্তু সাহায্যের হাত একে অপরের দিকে বাড়িয়ে দিতে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের নেই কোন কার্পণ্য।
স্প্যানিশ ফুটবলের আবহাওয়াতে একটা খবরই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। বার্সেলোনাকে খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে সহয়তা করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি পেরেজ। স্প্যানিশ ফুটবলের যতটুকু জৌলুস, তার সিংহভাগই দখলে রেখেছে বার্সা ও রিয়াল। অথচ ঋণের বোঝা বইতে বইতে কুঁজো প্রায় বার্সেলোনা।
অর্থনৈতিকভাবে আবারও স্থিতিশীল পর্যায়ে ফিরতে মড়িয়া ব্লাউগ্রানারা। কিন্তু সে জন্যে তাদের বেশি বেশি শিরোপা জেতা চাই। সেজন্যে চাই পছন্দের খেলোয়াড়। তেমনই দুই পছন্দের খেলোয়াড় ডানি ওলমো ও পাউ ভিক্টরের নিবন্ধন নিয়ে বেজায় ধুকতে হয়েছে বার্সেলোনার। খোদ লা লিগা থেকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল।
অর্থনৈতিক ফেয়ারপ্লে-এর গ্যাড়াকলে আটকে ছিল বার্সেলোনা। সেই সময়ে কোন প্রকার উচ্চবাচ্য করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। বরং পরম বন্ধুর মত নিরবে সাহায্য করবার চেষ্টা করেছেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। খেলোয়াড় নিবন্ধনের প্রতিবন্ধকতার মুখে বার্সেলোনা সাহায্য প্রার্থণা করে স্প্যানিশ স্পোর্টস কাউন্সিলের কাছে।
বার্সেলোনাকে সাহায্য করবার জন্যে স্প্যানিশ স্পোর্টস কাউন্সিলকে অনুরোধের সুরে সুপারিশ করেছেন পেরেজ। যেখানে অন্য প্রায় প্রতিটা দল বার্সেলোনার এমন দুর্দিনের ফায়দা নিয়ে তাদেরকে বিপাকে ফেলতে চেয়েছিল। বাকি ক্লাবগুলো চেয়েছিল যাতে বার্সেলোনার উপর আরও কড়াকড়ি সব নিয়ম আরোপ করা হয়।
অথচ যেই ক্লাবের সাথে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দীতা, সেই ক্লাবের সভাপতিই আয়ত্ত্বে থাকা সাহায্যটুকু করবার চেষ্টা করেছেন। সমর্থকদের মধ্যে বিদ্বেষ আছে, বিভক্তি আছে। কিন্তু ক্লাবের উচ্চ পর্যায়ে নেই কোন কোন্দল। দিনশেষে দ্বৈরথ থাকবে, সাথে থাকবে সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্ব, দূর হবে হিংসাত্মক শত্রুতা।