অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২৭ কোটি রূপিতে ঋষাভ পান্তকে দলে ভিড়িয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। তাকে ঘিরে দলটির প্রত্যাশাও অনেক। এজন্যই উড়িয়ে এনে দিয়ে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্বের ভারও। লখনৌর হয়ে প্রথম ম্যাচে ছয় বল খেলে ডাক মেরেছেন ঋষাভ। আর তাছাড়া তার বোলিং পরিবর্তনও হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে তাই এখন ভক্তদের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি।
অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাই মনে করেছেন অধিনায়ক হিসেবে পান্ত ভালো না। এমন দাবির পালে নিশ্চয়ই হাওয়া লাগাবে ঋষভের অতীত আইপিএল ক্যাপ্টেন্সি রেকর্ড। পান্ত এর আগে ২০২১, ২০২২ আর ২০২৪ সালে কাপ্তানি করেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। এই সময়ে ৪৩ ম্যাচে জিতেছেন মোটে ২৪ ম্যাচ। প্লে অফে খেলতে পেরেছেন মোটে একবার। এছাড়াও তার বেশকিছু বড় টেকটিক্যাল ভুলের মাশুল গুনতে হয়েছে দিল্লিকে অনেকবার।
উদাহরণ হিসেবে ২০২১ সালের কোয়ালিফায়ার ওয়ানকেই ধরা যেতে পারেন। যেখানে শেষ ওভারে কাগিসো রাবাদার বদলে পান্ত বল তুলে দেয় টম কারানের হাতে। এতেই প্লে-অফের দুই ম্যাচই হারার মঞ্চ রচনা করে দেন তিনি। পরবর্তী আসরেও অনেক টাকা খরচ করে দিল্লী প্লে-অফও খেলতে পারেনি।
এছাড়াও ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটে বেশ অনেকদিন ধরেই ছন্দে নেই ঋষাভ। জাতীয় দলের হয়েও সবশেষ কয়েকটি সিরিজে টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন না তিনি। এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচে করেছেন ৬ বলে শূন্য রান। গত আইপিএলেও রান রেটের চাপের মুখে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তার আগ্রাসী ক্যামিও ব্যাটিং দিল্লিকে সাহায্য করেছে নামেমাত্র কিছু ম্যাচে।
লখনৌ এর মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও আবার ছেড়ে দেবার মানুষ নন। সামান্য ভুলেও কথা শুনাতে পিছুপা হননি তিনি কখনো। আগের আইপিএলেই আরেক ইন্ডিয়ান উইকেট রক্ষক ব্যাটার আর অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের উপর চটেছিলেন তিনি। একই পরিনতি পান্তের হলে ব্যাপারটা আরও ঘোলাটে হয়ে দাঁড়াবে নিশ্চয়ই।
প্রাইজট্যাগটাও চাপের মুখে রাখবে ঋষাভকে। ২৭ কোটি রুপির প্রত্যাশা পূরন করে পারফর্ম করাটা সহজ কিছু না। পারফরম্যান্স প্রেশারে পড়তে পারেন তিনি। একই সাথে দলের কাছে তার থেকে ভালো বিকল্প অপশনও। সানরাইজার্স ফ্রাঞ্চাইজিরই দল সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ কে এসএ টি-টোয়েন্টি লিগে কয়েকবার শিরোপা জিতেয়েছেন এইডেন মার্করাম।
এছাড়াও দলে আছেন নিকোলাস পুরানও। তিনি সম্প্রতিই আইএল টি-টোয়েন্টিতে মুম্বাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত সিজনেও রাহুলের অনুপস্থিতিতে লখনৌকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। আয়ুশ বাদোনিও ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেন দিল্লিকে। সুতরাং পান্তকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে শুধু ব্যাটিংয়ে মনযোগী করার সিদ্ধান্ত তাই নিতেই পারে ফ্রাঞ্চাইজিটি।