লড়াকু মিরাজের নি:সঙ্গ বিকেল

প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও মিরাজের ফাইফার। টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পৌঁছে গেছেন ২০০ উইকেটের মাইলফলকে। তৃতীয়বারের মত এক টেস্টে নিলেন ১০ উইকেট।

বিনা উইকেটে ৯৫ রান তুলে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। তাড়া করতে হবে মাত্র ১৭৪ রান। সেই সময়ে আর যাই হোক ম্যাচে ফিরে জেতা যায় না। সেই অসম্ভব চেষ্টাটাই করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি প্রায় একাই জিম্বাবুয়েকে নিয়ে গেলেন খাঁদের কিনারায়।

১৭৪ রান তুলতে জিম্বাবুয়ে হারাল সাতটা উইকেট। মিরাজ একাই নিলেন পাঁচটা উইকেট। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও মিরাজের ফাইফার। টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পৌঁছে গেছেন ২০০ উইকেটের মাইলফলকে। তৃতীয়বারের মত এক টেস্টে নিলেন ১০ উইকেট।

কিন্তু, সবটাই বৃথা চেষ্টা। বাংলাদেশের পরাজয় তিনি আটকাতে পারলেন না। আসলে পারার কথাও নয়, দিনের প্রথম সেশনেই লেখা হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের পরাজয়। দিনের প্রথম ওভারের নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ের পর ইনিংস আর বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ দল।

লাঞ্চের আগেই লেজ গুটিয়ে ফেলে টাইগারবাহিনী। প্রথম সেশনে ৬১ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যায় বাংলাদেশের ছয়টি উইকেট। ব্যাটাররা আরেকটু দায়িত্ববান হলেই ম্যাচের চিত্রটা ভিন্ন হত। রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটি থেকেই ৯৫ রান চলে আসার পর আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের।

মিরাজ-তাইজুলরা সাতটাই উইকেট নিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়েছেন শুধু। জিম্বাবুয়ে ২০২১ সালের মার্চে সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল। চার বছরের বেশি সময় বাদে আরেকটা টেস্ট জয়ের সৌভাগ্য হল তাঁদের। যোগ্যতর দল হিসেবেই স্কোরবোর্ড বিজয়ীর স্বীকৃতি দিল তাঁদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁরা টেস্ট জিতেছিল সাত বছর আগে, ২০১৮ সালে এই সিলেটেই! ভেন্যুটাকে জিম্বাবুয়ে দল নিশ্চয়ই মনে রাখবে।

Share via
Copy link