এমকেএস লেখা ব্যাটটাতে চুমু খেলেন, সিজদাহ করলেন চট্টগ্রামের মাঠে। টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়াই এর চেয়ে ভাল হতে পারে না। সেই কাজটাই করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর সেই কাজে নিজের মাইলফলকও পূরণ হল। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন মিরাজ।
প্রায় সময়ই বলা হয়ে থাকে সাকিব আল হাসানের যোগ্য উত্তরসূরী হবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মাঠে তার ইমপেক্ট নিজের দিকে শায় না দিলেও, পরিসংখ্যান বলে ঠিক পথেই এগোচ্ছেন মিরাজ। ক্রিকেটের ঐতিহ্য বহনকারী বনেদি ফরম্যাট টেস্টে সবছেয়ে কম ম্যাচে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেট শিকারের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে নিজের নাম তুলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর তাইজুল ইসলাম কিংবা তানজিম হাসান সাকিবদের নিয়ে যে লড়াইট করলেন সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসের বিরল।
বল হাতে সিলেট টেস্টেই দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। ম্যাচ জিততে পারেননি দলের ব্যাটিংয়ের জন্য। সেই দায় মিরাজেরও আছে। কারণ, দুই ইনিংসের কোনোটাতেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এবার আর আক্ষেপ থাকার কথা নয়। ব্যাটে ছন্দে ফেরার দিনে ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কাপিল দেব, রাবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বীনদের মতো গ্রেটদের পাশেই নিজেকে নিয়ে গেছেন তিনি।
তবে, দেশের ক্রিকেটে এমন কৃতিত্ব এবারই প্রথম নয়, এর আগে দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানেরই রয়েছে এই রেকর্ড। তবে, সাকিব আল হাসানের চেয়ে কম সময়ে এই কীর্তি গড়েছেন মিরাজ। সাকিবের করেছেন ৫৬ টেস্টে, মিরাজ একই রেকর্ড গড়লেন ৫২ টেস্টে।
মিরাজ কি সাকিব হতে পারবেন? হয়তো পারবেন, হয়তো নয়। যুক্তিতর্ক থাকতেই পারে। শুধুমাত্র সময়ই বলে দিবে মিরাজ তাঁর পূর্বসূরীর পথে কতটা এগোতে পারেন।