কোন রকম ঢাক-ঢোল পেটানো ছাড়াই, বাংলাদেশ দল দুই অধিনায়কের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশটিতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকছেন লিটন দাস।
সম্প্রতি শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নাজমুল হোসেন শান্তই দলকে দিয়েছেন নেতৃত্ব। তবে সেই সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়কত্ব নিয়ে একটা মৃদু বার্তা দিয়েছিলেন শান্ত। ২০২৩ সালে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ওঠে শান্তর হাতে।
এই যাত্রাটা অম্ল-মধুর ছিল শান্তর জন্যে। জয় পেয়েছেন, কিন্তু পরাজয়ের সংখ্যাটাই বেশি। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ১৩ খানা ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ শান্তর নেতৃত্বে। ওয়ানডেতে পরাজয়ের সংখ্যা নয়টি। টেস্টে শান্তর অধীনে বাংলাদেশ হেরেছে আটটি ম্যাচ।
সে কারণেই তার অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ার লম্বা হবে কি-না সে প্রশ্ন উঠেছিল। জিম্বাবুয়ের সিরিজের আগেও শান্ত তার অধিনায়কত্ব সংক্ষিপ্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আপাতত সেই সিরিজের জন্যেই অধিনায়কের দায়িত্ব মিলেছে।
অন্যদিকে গেল বছরের শেষের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ জিতেছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ। লিটন দাসের নেতৃত্বে স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করেছিল টাইগাররা। সেই পারফরমেন্সও শান্তর দায়িত্ব সংক্ষিপ্ত করার ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
যদিও লিটন দাস এখন পর্যন্ত পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেননি। আপতকালীন অধিনায়ক হিসেবে তার ডাক এসেছে বহুবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও শান্তর ইনজুরির কারণে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন লিটন। সেই সিরিজের তিনটি ম্যাচসহ মোট চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন লিটন। হেরেছেন একটি।
এছাড়া একটি টেস্ট ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে, সেটিতেও জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তার অধীনে সাতটি ওয়ানডে খেলে সমান তিনটি করে জয়-পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টির বাগড়ায়।
এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে ধারাবাহিক অধিনায়ক লিটন হতে চলেছেন, সেটা অনুমান করে নেওয়া যায়। এখন ভাবনার বিষয়, শান্ত বাকি দুই ফরম্যাটেও অধিনায়কত্ব করবেন কি-না। সময় গড়ালেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যদিও পারফরমেন্সের কারণে শান্তর নিজেরও অনীহা সৃষ্টি হয়েছে।