জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা বোলাররা ঝড় তুললেন সিলেটে। খালেদ আহমেদ, তানভির ইসলাম আর শরিফুল ইসলামের আগুনে বোলিংয়ে লুটিয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। সফরকারীরা অলআউট হল মাত্র ১৪৭ রানে।
তারুণ্য নির্ভর নিউজিল্যান্ড দল। জাতীয় দলের অভিজ্ঞতায় ভরপুর বাংলাদেশ দল। ‘এ’ দলের লড়াইয়ে তাই বাংলাদেশ ‘এ’ দলই ছিল ফেবারিট। তবে, নুরুল হাসান সোহানের দল এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে আঘাত হানবে সেটা কে জানত।
১০০ রানের নিচেই অল আউট হতে পারত নিউজিল্যান্ড। সেটা হয়নি ডিন ফক্সক্রফটের জন্য। তিনি ৭২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন মোটে ৬৪ বল খেলে।
মাত্র ১৩ রানে চার উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর সেই অর্থে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। নিউমিত বিরতিতে উইকেট হারানোর মিছিলে মাত্র ৮৫ রানে নবম উইকেটের পতন হয়। ফক্সক্রফটের লড়াই শুরু হয় এখান থেকেই।
শেষ উইকেট জুটিতে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল যোগ করে ৬২ রান। এর মধ্যে বেন লিস্টারের অবদান মাত্র চার রান। এর আগে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের সামনে। ওপেনার রিজ মারিউ দলের হয়ে ৪২ রান করেছেন।
মানে মারিউ আর ফক্সক্রফট মিলে করেন ১১৪ রান। বাকি সবাই মিলে করে ২৪ রান, অতিরিক্ত খাত থেকে আসে নয় রান । শেষ পর্যন্ত ডিন ফক্সক্রফটের ব্যাটে ভর করে স্কোরকে ১০০-এর ওপর টেনে নিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
একাদশে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সবারই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে। সেই তুলনায় নিউজিল্যান্ড দল বেশ আনকোড়া। মোটে তিন কি চার জন এর আগে খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তাই, বাংলাদেশ দলের একচ্ছত্র আধিপত্ত প্রত্যাশিতই ছিল। তবে, প্রত্যাশিত বোলিংয়ের পর অপেক্ষা বাড়ান ফক্সক্রফট।