সীমিত ওভারের মিডল অর্ডারে শূন্যতা আছে বাংলাদেশের। সেই শূন্যতার সমাধান হতে পারেন মাহিদুল ইসলাম ব্যাটার। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দারুণ এক ওয়ানডে সুলভ সেঞ্চুরি করে সেই প্রমাণ দিলেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) রেখেছেন ভরসার ছাপ। মিডল অর্ডারে এমন ব্যাটারই তো চাই বাংলাদেশের।
যদিও, অঙ্কনের টেস্ট অভিষেক হয়েছে আগেই। তবে, লাল বলের ক্রিকেট তাঁর ইউএসপি কোনো ভাবেই নয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় মাত্র ২৯। বরং, সেই চিন্তা এক পাশে রেখে তাঁকে রঙিন পোশাকের পরিকল্পনায় রাখা যেতে পারে।
সিলেটে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে বিধ্বংসী এক ইংনিস খেলে অংকন। ৭ চার এবং ৫ ছক্কায় ৯৭.৮০ স্ট্রাইকরেটে ১০৮ বলে করেন ১০৫ রান। পুরো ইংনিস জুড়েই ছিলো প্রোপার ক্রিকেটিং সব শট। পেয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৪। টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট ১৩৫। বিপিএলের গেল আসরে ফিনিশার হিসেবে তিনি বেশ আলোচিত ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসটাও সেই আলোচনার পালে নতুন করে হাওয়া দিল।
ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করেছেন। সময়ের চাহিদা মিটিয়েছেন। শুরুতে ধীরগতিতে খেললেও পরে হাত চালিয়েছেন। শেষের দিকে পাওয়ার হিটিংয়ের প্রদর্শনী দেখান। চতুর্থ উইকেটে নুরুল হাসান সোহানের সাথে মিলে যোগ করেন ২২৫ রান। আর এই জুটিতেই ৯৭ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ এক দল ম্যাচের লাগাম ফিরে পায়। বোর্ডে জমা করে ৩৪৪ রান।
পারফরম্যান্স বিচারে অংকনকে তাই সুযোগ দেওয়া উচিত সাদা বলেই। তার সার্মথ্যের যথাযথ ব্যবহার করতে পারলেন দেশের জার্সিতে হতে পারেন লম্বা রেসে ঘোড়া।