মাঝ পথে থেমে গেল আইপিএল

মাঝপথে টুর্নামেন্ট বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথই হাতে ছিলো নাহ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।ধারণা করা হচ্ছে আইপিএল বন্ধ হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়বে ভারতের ক্রিকেট অর্থনীতি।

নিরাপত্তার ঝুঁকিতে মাঝপথে থেমে গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। পাকিস্তানের সাথে চলমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে শঙ্কিত হয়ে উঠেছিলো বিদেশি ক্রিকেটাররা, প্রতিনিয়তই আস্থা হারিয়ে বিসিসিআইয়ের কাছে পূর্ণ প্রতিশ্রুতি চেয়ে বসেন অনেকেই।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মিশেল স্টার্ক, প্যাট ক্যামিন্সরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চেয়ে বিসিসিআই-এর শরণাপন্ন হয়েছিলেন। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও।

মাঝপথে টুর্নামেন্ট বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথই হাতে ছিলো নাহ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। ধারণা করা হচ্ছে আইপিএল বন্ধ হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়বে ভারতের ক্রিকেট অর্থনীতি।

সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চরমে, এর মাঝে দুটি দেশেই চলছিলো ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। গত বুধবার রাতে পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) ম্যাচ ভ্যেনু রাউালপিন্ডিতে ড্রোন হামলা চালায় ভারত।

তারপর সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় পিএসএলের সব ম্যাচ। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে স্বতঃস্ফূর্ত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় পিএসএল এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

ড্রোন হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানও পাল্টা ক্ষেপনাস্ত্র আক্রমণ চালাতে শুরু করে ভারতীয় সিমান্তে। গতকাল রাতে ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় চলছিলো আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ। এমতবস্থায় হঠাৎই স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট নিভিয়ে ম্যাচটি বন্ধ করে দেওয়া হয়, মাঠ থেকে কড়া নিরাপত্তায় খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে হোটেলে স্থানান্তর করা হয়, দর্শকদের নিরাপদে মাঠ থেকে সরে যেতে বলা হয়।

তবে তাৎক্ষনাতভাবে কর্তৃপক্ষ জানায় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট সমস্যায় খেলা বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ধারণা করা হয় ধর্মশালার মাঠটি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪০ কি. মি. দূরে ফলে এখানে হামলা হতে পারে, সেই ভয় থেকেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়।

টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ গুলোতেও সূচি ও ভেন্যুতে পরিবর্তন এনে টুর্নামেন্ট চালিয়ে যেতে চেয়েছিলো বিসিসিআই । তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেছেন জনগণের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাজনিত কারণে আইপিএল এখনই সাময়িক বন্ধ করা উচিত।

সীমান্তে অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে ভয় দেখা দিয়েছিলো। যদিও ধর্মশালা ছাড়া আইপিএলের বাকি ম্যাচ ভেন্যু গুলোকে নিরাপদই ভাবা হচ্ছিল। তবুও অবশেষে বন্ধ হলো আইপিএল।

দেশের জনগণের ভাবমূর্তি এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ই্যসুকে জোড়ালো করে বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএল গর্ভনিং বডি ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

Share via
Copy link