নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলাদেশের। তবে ধুঁকতে থাকা ব্যাটিং অর্ডারে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন নাসুম আহমেদ। অন্যদের ব্যর্থতার দিনে এবাদতকে সঙ্গে নিয়ে লাস্ট উইকেটে করলেন ৪৭ রানের পার্টনারশিপ। যা বাংলাদেশকে দিলো লড়াই করার পুঁজি।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। শুরুতেই ৪ রানে ফিরে যান মোহাম্মদ নাইম। ডিপিএলের মঞ্চে আলো ছড়ানো নাইমের ব্যাট খুব একটা হাসেনি এই সিরিজে। বিজয়ও ব্যর্থ হয়েছেন, ফিরে গেছেন মাত্র ২ রান করেই।
আশা জাগিয়েও সাইফ ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৬৩ তে ইয়াসির ফিরে গেলে ১৪৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো অসহায় তখন বাংলাদেশ। তবে, নাসুম আহমেদ নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন এদিনের জন্য। বাংলাদেশি টেল-এন্ডার ব্যাটারদের অবদান নিয়ে বরাবরই একটা প্রশ্নচিহ্ন থাকে। তবে আজ মান বাঁচিয়েছে টেল-এন্ডাররাই।
১৪৬ থেকে ১৮০, এই ৩৪ রানের পার্টনারশিপে নাসুমকে সঙ্গ দিয়েছেন নাইম হাসান। ১৮০ রানেই নয় উইকেট পতনের পর মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড থেমে যাবে ওখানেই। তবে, বাকি সময়টা নাসুম-এবাদত জুটির। একপ্রান্ত আগলে রাখা নাসুম যেন বনে গিয়েছিলেন পুরোদস্তুর ব্যাটার। ৯৬ বলে ৬৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসটাই প্রমাণ করে তাঁর ব্যাটিং সক্ষমতা।
তবে অন্য প্রান্তে তাঁকে সঙ্গ দেওয়া এবাদতের গুরুত্বটা কম ছিল না। ২৬ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকা এবাদতও দেখিয়েছেন কীভাবে টিকে থাকতে হয়। এই দুজনের ৪৭ রানের পার্টনারশিপে ভর করে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তোলে ২২৭ রান।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে লোয়ার অর্ডার প্রমাণ করলো নিজেদের। নাসুমের সাবলীল ব্যাটিং, এবাদতের যোগ্য সঙ্গ প্রমাণ রাখলো—বিপদে হাল ধরতে টেল-এন্ডাররাও পারে।