আকবরের শতক স্রেফ এক সৌন্দর্যবর্ধক

ব্যাট হাতে উন্নতি হচ্ছে না তার- এমন এক আক্ষেপের সুর ঘুরে বেড়িয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সার্কিটে। সেই সুরে হয়ত বদল আনতে চলেছেন আকবর। 

শত প্রচেষ্টায় বেয়ে যাওয়া নৌকা ভিড়ল না জয়ের বন্দরে। নাবিক আকবর আলীর শতক স্রেফ এক সৌন্দর্যবর্ধক হয়ে রইল তার নামের পাশে। ম্যাচ শেষে পরাজিত দলের কাতারেই যে তার দলের অবস্থান। অধিনায়ক হিসেবে তো দায় আকবরের কাঁধেই বর্তায়।

জমজমাট লড়াই হয়েছে আমের নগরী রাজশাহীর বুকে। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল ছুড়ে দিয়েছিল ৩৩৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলার দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। যার সিংহভাগ কৃতীত্ব আকবর আলীর। একা হাতে জয়ের স্বপ্ন বুনেছিলেন তিনি।

১৩১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক খেলেছেন ঠিক চ্যাম্পিয়নের মত। নিজের ইনিংসের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন ভীষণ আগ্রাসী। প্রতিপক্ষ বোলারদের হুঙ্কারকে তোয়াক্কা না করেই ব্যাট চালিয়েছেন আপন গতিতে। ক্যারিয়ারের চলার পথে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে এটিই তার প্রথম শতক।

১১৯.০৯ স্ট্রাইকরেটের এক দূর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়েছেন আকবর আলী। সংখ্যাতত্ত্বের এই হিসেব ছাপিয়ে আকবরের ব্যাটিং উন্নতি নজর কেড়েছে বটে। ব্যাট হাতে উন্নতি হচ্ছে না তার- এমন এক আক্ষেপের সুর ঘুরে বেড়িয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সার্কিটে। সেই সুরে হয়ত বদল আনতে চলেছেন আকবর।

পেসারদের বিপক্ষে আকবরের ভীতি বা অপারগতা ছিল এক দুশ্চিন্তার বিষয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের পেসারদেরকে তিনি সামলেছেন বেশ সাবলীলভাবেই। ভীতি যেন কেটে যেতে শুরু করেছে তার। বরাবরই তাকে অধিয়ানায়ক ম্যাটেরিয়াল ভাবা হয়েছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের কারণেই তার সতীর্থরা জাতীয় দলে খেললেও তিনি এখনও সুযোগ পাননি।

তবে অদূর ভবিষ্যতে হয়ত তার সুযোগ চলে আসবে। কেননা ব্যাট হাতে তিনি বেশ ধারাবাহিক। ইমার্জিং সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তিনি ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়েছেন ব্যাট হাতে। এরপর তো হাঁকালেন শতক। তবে এই সেঞ্চুরিতে তিনি ততটাও সন্তুষ্ট হতে নিশ্চয়ই পারছেন না, দল যে জেতেনি ম্যাচ।

তিনি যতক্ষণ অবধি বাইশ গজে ছিলেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দল চালকের আসনেই ছিল। কিন্তু তার বিদায়ের পর হুড়মুড় করে গুড়িয়ে গেছে পুরো ব্যাটিং লাইনআপ। তাতে করে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল হেরেছে ১০ রানে। সিরিজে এখন ১-১ সমতা।

Share via
Copy link