সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রায় হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের লাগামটা বাংলাদেশ টেনে ধরে শেষ পাঁচ ওভারে। আর যার পেছনের কারণ লিটন দাসের বোলিং চেঞ্জ।
ব্যাটে রান না পেলেও ক্যাপ্টেন লিটন বরাবরই ছিলেন কৌশলী। গত ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে পাঁচজন বোলার ছিল। তাই তো হাতে খুব বেশি অপশন ছিল না লিটনের। ক্রিকেট মাঠে যে কারোর দিনই খারাপ যেতে পারে, আর গত ম্যাচে খারাপ দিনটা ছিল মেহেদির। তবে তাকে লিটন দাস ব্যাকআপ দিয়েছেন এবং দলের জয়টাও নিশ্চিত করেছেন। হাতে থাকা রিসোর্সের পরিপূর্ণ ব্যবহার কিভাবে করতে হয় তা লিটন দেখিয়ে দিলেন।
লিটনের শেষ পাঁচ ওভারের ক্যাপ্টেন্সি যদি লক্ষ্য করা যায়, পেসারদের এক ওভার এগিয়ে আনেন তিনি। আর লাস্ট ওভারটা রাখেন স্পিনার শেখ মেহেদির জন্য। সাধারণত ১৬-১৭তম ওভারের মধ্যেই স্পিনারদের বোলিং কোটা শেষ হয়ে যায়। তবে গত ম্যাচে যদি এমনটা করা হতো হয়তো ম্যাচের দৃশ্যপট অন্যরকম থাকতো।
এই ম্যাচে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন শেখ মেহেদি। শেষ ওভারের আগে অর্থাৎ নিজের করা তিন ওভারে ৪৯ রান দিয়ে কোনো উইকেটের দেখা পাননি। বিশেষ করে ১৩তম ওভারের মাথায় আসিফ খানের কাছে ছক্কার হ্যাটট্রিক করে বসেন তিনি।
শেষ পাঁচ ওভারে আরব আমিরাতের দরকার ছিল ৫৩ রান। তখনও ক্রিজে ছিলেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা আসিফ খান। তাই তাদের সম্ভাবনাও ছিল বেশ ভালোভাবেই। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৬তম ওভারে ক্যাপ্টেন কাকে নিয়ে আসবেন। মেহেদির এক ওভার তখনও বাকি, তাকে কি শেষ করাবেন নাকি পেস অ্যাটাক দিয়ে পরিকল্পনা করবেন।
আসিফ খান স্পিনে বেশ স্বচ্ছন্দ্য বোধ করছিলেন। তাই তো লিটন ১৬তম ওভারে নিয়ে আসলেন দলের ট্রাম্প কার্ড মুস্তাফিজকে। এরপর হাসান মাহমুদ আর মোস্তাফিজ মিলে ১৯তম ওভার পর্যন্ত বল করতে থাকেন, আর ওখানেই আরব আমিরাতের সম্ভাবনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেওয়া হয়।
শেষ ওভারে আমিরাতের দরকার ছিল ৩৪ রান। যা রীতিমতো অসম্ভব ছিল তাদের জন্য। তাই শেষ ওভার নির্দ্বিধায় বোলিংয়ে আসেন শেখ মেহেদি, এমনকি ২ উইকেটও তুলে নেন।
যদি ১৬তম ওভারে মেহেদিকে লিটন বোলিংয়ে আনতেন, ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হয়ে যেতে পারতো। ম্যাচের গতিবিধি বুঝে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বাংলার কাপ্তানের। শেষ পাঁচ ওভারে লিটন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন তাকে ক্যাপ্টেন হিসেবে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেখা হয়।