বাংলাদেশ দেখাল ম্যাচ হারের নানা কৌশল

সিরিজ ১-১ সমতায়। শঙ্কার মেঘ দিচ্ছে উঁকি, তৃতীয় ম্যাচ খেলা না হয় আবার বাড়তি ঝুঁকি! 

টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান করে এর আগে কখনোই হারেনি বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারার জন্যে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবটাই করেছে বাংলাদেশ দল। এর আগে ১৭৩ রান অবধি তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল আরব আমিরাতের। সেই রেকর্ডটা এখন অতীত হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কল্যাণে।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হারতে পারত বাংলাদেশ। স্রেফ অভিজ্ঞতা আর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে না পারায়, পরাজিত হতে হয়েছিল ওয়াসিম খানদের। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ঠিকই ঘুরে দাঁড়ালেন। পরম বন্ধুর মত আরব আমিরাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহয়তাই করলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

বেখেয়ালি চ্যানেলে বোলিং, যাচ্ছেতাই ফিল্ডিং, আর নো বলের পসরা সাজিয়ে প্রত্যেকে মিলে আরব আমিরাতের জয়ের মঞ্চে তৈরি করে দিলেন। সব মিলিয়ে তিনটি নো বল করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এর মধ্যে নাহিদ রানা ছুড়েছেন দুইটি নো। তবে সবচেয়ে ঘাতক নো-বলটি করেছেন তানজিম হাসান সাকিব। ইনিংসের শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্যে প্রয়োজন মাত্র দুই বলে তিন, সেই সময়ে নো-বল করেন সাকিব।

সেটাও না হয় হতেই পারে, চাপের মুহূর্তে দু’একটা বল হাত ফসকে বেড়িয়ে যেতেই পারে। কিন্তু তাওহীদ হৃদয় শেষবেলায় যা করলেন- সেটা রীতিমত ব্যাখ্যাতীত। ডিপ পয়েন্টে তিনি বল কুড়িয়ে থ্রো করতে চেয়েও করেননি। ততক্ষণে বাইশ গজে আরব আমিরাতের দুই ব্যাটার দ্বিতীয় রান নিয়ে দ্বিধান্বিত। কিন্তু হৃদয়ের ওই থেমে যাওয়ায় তারা পূরণ করেন রান- উৎসবে মেতে ওঠে পুরো আমিরাতের ডাগআউট।

বাজে ফিল্ডিংয়ের নমুনা এখানেই শেষ না। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে রানআউটের চিন্তা থেকে বল থ্রো করেন বোলার শরিফুল ইসলাম। কিন্তু ব্যাকাপ ফিল্ডার না থাকায়, বল চলে যায় সীমানায়। তাতে করে অতিরিক্ত আরও চারটি রান যুক্ত হয়ে যায় আমিরাতের রানের খাতায়। জয়ের দূরত্ব কমে দাঁড়ায় ছয় বলে ১২।

এমন দৃষ্টিকটু সব ফিল্ডিং ত্রুটি ছাড়াও বাংলাদেশ ক্যাচ ছেড়েছে তিনটি। সব মিলিয়ে লেজেগোবরে করে আরব আমিরাতের কাছে ম্যাচ হেরেছে লিটন দাসের দল। সিরিজ ১-১ সমতায়। শঙ্কার মেঘ দিচ্ছে উঁকি, তৃতীয় ম্যাচ খেলা না হয় আবার বাড়তি ঝুঁকি!

Share via
Copy link