বল নয়, রীতিমতো এক একটা আগুনের গোলা ছুড়েছেন হাসান আলী। আর তাতেই অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের ব্যাটারদের। একটি দুটি নয়, গুনে গুনে হাসান শিকার করেছেন বাংলাদেশের পাঁচ পাঁচটি উইকেট।
ফর্মে ফেরার সূচনাটা পাকিস্তান সুপার লিগ দিয়ে। করাচি কিংসের হয়ে এবারের টুর্নামেন্ট কেটেছে দুর্দান্ত। বল হাতে নিয়েছেন ১৭ উইকেট, যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় অবস্থানটা ছিল দুই নম্বরে। এমন পারফরম্যান্স তাকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেয় জাতীয় দলে।
পারভেজ হোসেন ইমনকে দিয়ে শুরু, শেষটা করলেন শরিফুল ইসলামকে দিয়ে। মাঝখানে তানজিদ তামিম, জাকের আলি, তানজিম সাকিব— তিনজনকে দেখিয়েছেন ড্রেসিংরুমের পথ। আর ওখানেই বাংলাদেশের সম্ভাবনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।
চার ওভারের কোটা পূরণ করতে হয়নি, ৩.২ ওভার বল করেই তুলে নিয়েছেন ফাইফার। আর এরপরই চিরচেনা সেই ট্রেডমার্ক হাসান আলী সেলিব্রেশন। সেই সাথে পাকিস্তানও তুলে নিলো সিরিজের প্রথম জয়।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হাসান আলী খেলেছিলেন ২০২৪ সালের মে মাসে। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ কিংবা হারিস রউফদের ভীড়ে অনেকটা আড়ালেই ছিলেন এতদিন। তবে মনের মধ্যে ছিল ফিরে আসার স্ফুলিঙ্গ। তাই তো সেই শাহিন, নাসিমদের টেক্কা দিয়েই জাতীয় দলে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করে দেখালেন।
পুরনো আগ্রাসন, মাঠে চিরচেনা উত্তাপ—এই হাসান আলী যেন আরও বেশি ভয়ংকর। তাই তো বুড়ো ঘোড়ার বেশে কাজে লাগালেন নিজের অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দিয়ে জানান দিলেন, হাসান আলী ইজ ব্যাক।