মোহাম্মদ হারিস কী ইনিংসটাই না খেললেন! ৪৬ বলে ১০৭ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। এই সেঞ্চুরির ভেতরে ছিল সবকিছু—
চোখ জুড়ানো ক্লিন হিটিং, বুদ্ধিদীপ্ত সিঙ্গেল নেওয়া, দারুণ সব ইনোভেশন আর বরফঠান্ডা স্নায়ু।
এটাই তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শতক — আর কী দারুণ শতকই না করলেন! বাংলাদেশ যে কমপক্ষে ৩০ টা রান কম করেছে সেটা প্রমাণ করলেন হারিস।
উইকেটের পেছনের চেয়ে সামনে ভরসা পাওয়াটা বেশি জরুরী ছিল পাকিস্তানের জন্য। সেই ভরসার নাম এখন মোহাম্মদ হারিস। মোহাম্মদ রিজওয়ান যখন টি-টোয়েন্টিতে মানানসই নন, আজম খান যখন রানই পাচ্ছেন না – তখন মোহাম্মদ হারিস পাকিস্তান দলের উদ্ধারকারী জাহাজ।
লাহোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে উপহার দিলেন অবিস্মরণীয় এক ঝড়। সেই ঝড়ে বাংলাদেশ তো উড়ে গেলই – পাকিস্তানের বুকেও একটা কাঁপুনি উঠল। অবশেষে, উইকেটরক্ষক ব্যাটারের জায়গাটা পাঁকা হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি দলে।
বুদ্ধিমানের মতো সিঙ্গেল, জায়গা বদলে শট, আর মাথা ঠান্ডা রেখে খেলা—সব ছিল এই ইনিংসে। একটা সময় ছিল যখন শুধু প্রতিভা দেখাতেন, লাহারে এবার প্রমাণ করে দিলেন—এই মঞ্চটা তারও।
পুরো সিরিজ জুড়েই দারুণ ফর্মে ছিলেন। আগের দুই ইনিংসেও করেছেন যথাক্রমে ৪১ আর ৩১ রান। টি-টোয়েন্টির চাহিদা মিটিয়েছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আগে যার হাফ সেঞ্চুরিও ছিল না, তাঁর নামের পাশে আজ সেঞ্চুরি।
এই ইনিংস দিয়েই যেন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠলেন মোহাম্মদ হারিস। তিনি এখন কেবলই আর সম্ভাবনা নয়, তিনি পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টির স্বপ্ন।