রিভার্স সুইংয়ের ভরসাতেই রয়েছে বাংলাদেশ

সেই রিভার্স সুইংকেই অস্ত্র হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ, অন্তত কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সে আভাসই দিয়ে গেলেন।

শেষ বিকেলে বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে পাঁচটি। সংগ্রহ এখনও হয়নি পাঁচশো। এর মূল কারণ পুরনো বলে শ্রীলঙ্কান বোলারদের রিভার্স সুইং। তাতেই বরং দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় কাবু হয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। আর সেই রিভার্স সুইংকেই অস্ত্র হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ, অন্তত কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সে আভাসই দিয়ে গেলেন।

গল টেস্টে খেলা হয়েছে ছয় সেশন। মাঝে অবশ্য ঘন্টাখানেক বৃষ্টির বাঁধায় ম্যাচ আটকে ছিল। কিন্তু ছয় সেশনের মধ্যে চার সেশনেই আধিপত্য বিস্তার করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এর মূল কারণ অবশ্য ছিল নির্বিষ উইকেট। বোলাররা সেই অর্থে কোন সুবিধাই পাচ্ছিলেন না।

তবে বল পুরনো হওয়ার পর শ্রীলঙ্কান পেসাররা পেয়ে গিয়েছিলেন টোটকা। পুরনো বলে রিভার্স সুইং আদায় করেছেন মিলান রত্নানায়েকেরা। বাংলাদেশও তাই খানিকটা ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করতে চায়। দিনের খেলা শেষ সংবাদ সম্মেলনে তেমনটিই জানিয়েছেন সালাউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘নতুন বলে যদি আমরা সুইং নাও পাই বলটাকে মেইন্টেইন করা খুব বেশি জরুরি এবং এখান থেকে যদি রিভার্স সুইংটা আমরা করাতে পারি তাহলে সেটা যেকোন সময় মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দিতে পারে।’ এক্ষেত্রে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার উপর থাকছে বাড়তি দায়িত্ব।

হাসান অবশ্য বলের মুভমেন্ট আদায় করতে পারেন। কিন্তু সেটা নতুন বলে। পুরনো বলে রিভার্স সুইংয়ে এখনও ততটা সিদ্ধহস্ত নন তিনি। অন্যদিকে নাহিদের অন্যতম অস্ত্রই হচ্ছে গতি। শ্রীলঙ্কাকে ভরকে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট গতিশীল নাহিদ। অতএব শুরুর দিকেই বাংলাদেশ উইকেট তুলে নিতে চাইবে।

অন্যদিকে গলের উইকেট তৃতীয় দিন থেকেই বোলারদের পক্ষে চলে আসতে শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় দিন শেষে তেমন কোন আভাসও পরিষ্কার নয়। অতএব, বাংলাদেশের স্পিনাররাও যে সুবিধা পেতে চলেছেন তা নয়। সুতরাং বাংলাদেশকে একটু রক্ষনাত্মক পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে হবে। বোর্ডে থাকা রান অবশ্য স্বস্তিই দিচ্ছে।

Share via
Copy link