বাবরের প্রত্যাবর্তনের শর্ত কিপিং

টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে হলে বাবর আজমকে উইকেটকিপিং করতে হবে। পাকিস্তানের সাদা বলের দায়িত্বে থাকা মাইক হেসন এমনই এক চমকপ্রদ প্রস্তাব দিয়েছেন বাবরকে।

টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে হলে বাবর আজমকে উইকেটকিপিং করতে হবে। পাকিস্তানের সাদা বলের দায়িত্বে থাকা মাইক হেসন এমনই এক চমকপ্রদ প্রস্তাব দিয়েছেন বাবরকে।

গত মাসে বাংলাদেশ দলকে হোয়াইটওয়াশ করার পর লাহোরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে এক প্রাথমিক বৈঠকে বসেন মাইক হেসন। দলে না থাকা বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং শাহিন আফ্রিদিকেও ডাকা হয় সেখানে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাম্প্রতিক এক পডকাস্টে হেসন জানান, তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বহুমুখী স্কিলসম্পন্ন খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দিতে চান। তাঁর মতে, এখন কেবল ব্যাটিং বা বোলিং জানলেই চলবে না—একজন খেলোয়াড়কে একাধিক ভূমিকা পালন করতে জানতে হবে, যেমন ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং বা উইকেটকিপিং।

সূত্র বলছে, বৈঠকে হেসন সরাসরি বাবরকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি টি-টোয়েন্টিতে কিপিং করতে পারবে?’ আকস্মিক এই প্রশ্নে হতভম্ব হয়ে বাবর উত্তর দেন, ‘আমি তো কখনও উইকেটকিপিংই করিনি!’

বাবর ও রিজওয়ান দুজনেই ওপেনার হিসেবে বরাবরই ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তাঁদের স্ট্রাইক রেট গড়ে ১২০-১৩০ এর মধ্যে, যা দলের মিডল অর্ডারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর থেকেই পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স তলানিতে। এরপর তারা ৪৩ ম্যাচে হেরেছে ২৭টি, যার মধ্যে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের লজ্জা।

যখন বাবর আজমকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তিনি বেশ ভেঙে পড়েছিলেন। এরপর বিকল্প খুঁজতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে চুক্তিও করেন।

বর্তমানে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এগোতে চায় পাকিস্তান। যেখানে স্লো স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা বাবর আজমের দলে ফিরে আসাটা বেশ কঠিনই হবে। ফিরতে হলে বাবরকে বিশেষ কিছুই করতে হবে, সেই বার্তাটাই বোধহয় দিলেন মাইক হেসন।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link