তাওহীদ হৃদয়ের অর্থহীন হাফসেঞ্চুরি

আবারও সেই ৫১ রান। অর্থহীন আরও এক হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তাওহীদ হৃদয় ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। প্রেমাদাসার ধীরলয়ের ব্যাটিং ফিরিয়ে আনলেন তিনি পাল্লেকেলেতেও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হৃদয়ের নেতিবাচক ব্যাটিং জয়ের পর্দার আড়ালে চলে গেলেও, তৃতীয় ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ আবারও প্রশ্নবিদ্ধ।

আবারও সেই ৫১ রান। অর্থহীন আরও এক হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তাওহীদ হৃদয় ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। প্রেমাদাসার ধীরলয়ের ব্যাটিং ফিরিয়ে আনলেন তিনি পাল্লেকেলেতেও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হৃদয়ের নেতিবাচক ব্যাটিং জয়ের পর্দার আড়ালে চলে গেলেও, তৃতীয় ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ আবারও প্রশ্নবিদ্ধ।

দুশমন্থ চামিরার বলে ছত্রখান হৃদয়ের উইকেট। পাল্লেকেলের আকাশে তখন বিজয়ের তীব্র নিনাদ ধ্বনিত হতে শুরু করে। লঙ্কান সমর্থকরা তাকেই সম্ভবত হুমকি মনে করছিল। কেননা এই লঙ্কাদ্বীপই তো তাওহীদ হৃদয়ের গায়ে জুড়ে দিয়েছিল ‘স্টারবয়’ তকমা।

কিন্তু নিজেকে পারফরমার প্রমাণ করতে গিয়ে, হৃদয় বরং ক্ষতি করেছেন বাংলাদেশ দলের। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে বাইশ গজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ২০ রান। হৃদয়ের সঙ্গী হিসেবে ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন।

তখন থেকেই তারা দুইজন চাইলে স্ট্রাইক রোটেশনে মনোযোগ দিতে পারতেন। কিন্তু হৃদয়ের ধ্যানজ্ঞান বনে যায় থিতু হওয়া। শুরুর ২০ বল শেষে হৃদয়ের রান ১১। উইকেটে এসেছেন, বাইশ গজে পর্যালোচনাতে তার সময় গিয়েছে। সেই নিরিখে তার শুরুর ২০ বলের রানকে না হয় খানিকটা ছাড় দেওয়া গেল।

কিন্তু এরপরও হৃদয় স্ট্রাইকরোটেশনে মনোযোগী হলেন না। আরেক প্রান্ত থেকে উইকেটের পতন অবশ্য ছিল চলমান। হৃদয় মানের ব্যাটারদের অন্তত বোঝার কথা, স্কোরবোর্ডের চাপ যত বাড়বে, তত ব্যাটাররা বড় শট খেলতে গিয়ে ভুল করবে। মিরাজের ক্ষেত্রে ঘটেছে তাই।

১০৫ রানে যখন বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে, তখন হৃদয়ের রান ৪১ বলে ২৮। অর্থাৎ, শুরু ২০ বলের পর পরবর্তী ২১ বলে হৃদয় রান নিতে পেরেছেন মাত্র ১৭টি। এই সময়ে তার ডটবল সংখ্যা ১১টি। তবে সেই ধারা সেখানেই থেমে থাকেনি।

৭৮ বলে ৫১ রান করে আউট হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। পুরো ইনিংসে ৪৪টি বলে কোন রান নিতে পারেননি হৃদয়। অর্থাৎ নিজের খেলা প্রায় ৫৭ শতাংশ বলে কোন রান নেননি হৃদয়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হৃদয় রান নিতে পারেননি নিজের খেলা প্রায় ৪১ শতাংশ বলে।

এই ক্ষুদ্র বিষয়গুলো বৃহৎ চিত্রে গোটা দলকে ভীষণ চাপের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাতে করে দিনশেষে হৃদয়ের নামের পাশে গুটিকতক রান জড়ো হলেও, তা দলকে খুব একটা ফায়দা দিচ্ছে না। এভাবে গা বাঁচানো ইনিংস খেলে নিশ্চয়ই হৃদয় ভক্তের হৃদয়ে নিজের স্থান হারাতে চাইবেন না। এমন নিষ্ফলা সব হাফসেঞ্চুরির বদলে হৃদয়ের ব্যাটে ফিরুক ইম্প্যাক্টফুল সব ইনিংস, সে প্রত্যাশা করা কি বাড়াবাড়ি?

Share via
Copy link