অনুশীলনে এসেই প্রথমে উইকেট দেখতে চলে গেলেন সনাথ জয়াসুরিয়া। সেখানে যথারীতি হাজির অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা।ওয়ানডে সিরিজে প্রত্যাশিত জয় পাওয়ার পর এবার টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগ শ্রীলঙ্কার।
আর সেজন্যই উইকেটে মনোযোগী চোখ দলটির। সেন্টার উইকেট অনেক সময় নিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলেন জয়াসুরিয়া। তাঁকে খুটিনাটি বুঝিয়ে দিলেন কিউরেটর আসিথা বিজয়সিংহে।
এরপর সেখানেই দাঁড়িয়ে একে একে সবার সাথে আলাপ করলেন জয়াসুরিয়া। কখনও টিম ম্যানেজার মাহিন্দা হালাগোন্দা, কখনও বা ফিল্ডিং কোচ উপুল চন্দনা। দফায় দফায় বৈঠক চলল।
জয়াসুরিয়ার কোচিংয়ের ভিন্নতা এখানেই। তিনি খেলোয়াড়দের স্বভাবজাত খেলাটা নষ্ট করতে চান না। নিজের ক্যারিয়ারে তিনি যেভাবে সাফল্য পেয়েছেন, খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও সেটাই ফলো করেন।
তিনি কোনো ব্যাটারের ব্যাটিং স্ট্যান্ট পাল্টাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দেন না। বোলারদের বোলিং গ্রিপে তাঁর কোনো নজর নেই। তিনি নজর দেন পরিকল্পনায়। এখানেই আলাদা জয়াসুরিয়ার কোচিং কৌশল।
আধুনিক ক্রিকেট কোচিং অবশ্য এমনই। এখানে এখন খেলোয়াড়দের দক্ষতার পরিবর্তন বা পরিবর্ধণের চেয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারার পরিকল্পনাতে মনোযোগ দেওয়া হয় বেশি। জয়াসুরিয়া তাই, অনুশীলন দেখেন।
টিম ম্যানেজমেন্টের সবাইকে দফায় দফায় ডেকে নিয়ে আলাপ করেন। পরামর্শ চান। এরপর নিজে একটা সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। সেটাই করে যাচ্ছেন নীবিড় মনে।
জয়াসুরিয়ার জীবনধারাও দল কেন্দ্রিক। দলের রুটিন মাফিক চলেন তিনি। ক্যান্ডির টিম হোটেলে খবর নিয়ে জানা গেল তিনি রাত করে ঘুমান, সন্ধ্যা গড়ালে ল্যাপটপে দলের পরিকল্পনা বিষয়ক অনেক কাজ করেন।
বেলা করে ঘুম থেকে উঠেন, যাতে করে যখন মাঠে আসবেন তখন যেন তাঁর পুরো মনোযোগ থাকে দলের অনুশীলনে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে ব্যর্থ হয়। সেই দলটি এখন ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের চার নম্বর দল। দলের পেছনে একজন মাস্টার মাইন্ড আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।