চার ওপেনারের স্ট্রাইকরেট ১১৭!

একাদশ দেখে রীতিমত হতবাক হওয়ার উপক্রম। চার চারজন ওপেনার! চারজনই খেললেন টপ অর্ডারে। পারভেজ হোসেন ইমনের কল্যাণে একটা ভাল শুরু পাওয়া গেলেও, বাকিদের ব্যর্থতায় সেই শুরু সময়ের সাথে সাথে মলিন হয়েছে। লিটন দাস, আর তানজিদ হাসান তামিম যেন খেললেন ওয়ানডে ধাঁচে। ইমনের ইনিংসটিই কেবল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ছাঁচে আঁটে।

একাদশ দেখে রীতিমত হতবাক হওয়ার উপক্রম। চার চারজন ওপেনার! চারজনই খেললেন টপ অর্ডারে। পারভেজ হোসেন ইমনের কল্যাণে একটা ভাল শুরু পাওয়া গেলেও, বাকিদের ব্যর্থতায় সেই শুরু সময়ের সাথে সাথে মলিন হয়েছে। লিটন দাস, আর তানজিদ হাসান তামিম যেন খেললেন ওয়ানডে ধাঁচে। ইমনের ইনিংসটিই কেবল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ছাঁচে আঁটে।

একাদশে যে তামিম ও ইমন থাকবেন সেটা অনুমিতই ছিল। তিন নম্বরে লিটন খেলবেন সে ধারণাও ছিল স্পষ্ট। কিন্তু হুট করেই নাঈম শেখের অন্তর্ভুক্তি সকলের মনে জাগিয়েছে প্রশ্ন। এতজন ওপেনিং ব্যাটার দিয়ে আসলে হবে কি? সেই প্রশ্নের কোন উত্তর অবশ্য চারজন মিলে দিতে পারলেন না।

অধিনায়ক লিটন তো ধুকছেন সাদা বলের সকল ফরম্যাটে। এদিনও ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। তিনি ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য স্ট্রাইক রোটেশন করতে চাইলেন। কিন্তু সে কাজটাও ঠিকঠাকভাবে করতে পারলেন না। ১১ বলে ছয় রানে সমাপ্তি ঘটে তার ইনিংসের। রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হন তিনি।

তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটেও ছিল না সেই চিরায়ত আগ্রাসন। তার সংগ্রহ ১৭ বলে ১৬ রান। নুয়ান থুসারার একটা লো ফুলটস বলে তিনি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। পারভেজ হোসেন ইমন অবশ্য এদের থেকে ছিলেন ব্যতিক্রম। তার ব্যাট চলেছে প্রায় ১৭৩ স্ট্রাইকরেটে। ২২ বলে ৩৮ রান করেছেন তিনি।

লিটনের সৃষ্টি করা চাপকে প্রশমিত করতে চেয়েছিলেন ইমন। তাইতো হাওয়ায় ভাসিয়ে শট খেললেন, ক্যাচ আউট হলেন। এরপর প্রায় দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা নাঈমও ওয়ানডে ঢঙকে আপন করে নিলেন। ২৯ বলে ৩২ রানের এক অপরাজিত ইনিংস।

দিনশেষে, চারজন ওপেনার মিলে বল খরচ করলেন ৭৯, আর তাদের সম্মিলিত সংগ্রহ ৯২। অর্থাৎ এই চারজনের সম্মিলিত ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট প্রায় ১১৭। ধন্যবাদ অবশ্য ইমনের প্রাপ্য। তবুও ১৫৪ রানের একটা মামুলি সংগ্রহতেই বাংলাদেশ দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।

বাংলাদেশের এহেন পদক্ষেপ অবশ্য একটা কেসস্টাডি হয়ে রইল। টি-টোয়েন্টিতে কোন ব্যাটারের পজিশন ঠিক থাকে না সত্য। তাই বলে ওপেনার দিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে ঠাসাঠাসি করলেও বিশেষ কোন ফায়দা হয় না। অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন পদক্ষেপ অহেতুক, অনর্থক, অবান্তর।

Share via
Copy link