টি-টোয়েন্টিতে ইন্টেন্ট আর মানসিকতাটাই সব কিছু। বাংলাদেশ দলকে সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা দল। যেভাবে শ্রীলঙ্কা দল ব্যাটিং করল, তাতে মনে হল বাংলদেশ ১৫৪ কেন ২২৩ করলেও হেরে যেতে পারত।
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিবেট স্টেডিয়ামের চরিত্রটাই এমন। এখানে রান করা সহজ। প্রথমে ব্যাট করে ২০০ রান করেও নিজেদের ‘সেফ’ ভাবার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সেখানে রান করতে পেরেছে মোটে ১৫৩। ম্যাচটা কার্যত বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পরই শেষ।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের প্রথম পাওয়ার প্লে’র পর নিশ্চিত হওয়া গেল, লিটন দাসের দল শুধু হারবেই না, হারবে বিরাট ব্যবধানে। প্রথম ছয় ওভারে শ্রীলঙ্কা রান করল ৮৩ রান। হারাল একটা উইকেট। বাকিটা সময় হল নেহায়েৎই অর্থহীন ও অসম এক লড়াই।
বাংলাদেশের বোলাররা হাপিত্যেশ করল। বলের চ্যানেল হারাল, বোর্ডে রান না থাকলে যা হয়। শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা সুযোগ দিলেন। পাথুম নিশাঙ্কা ২৫০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেন। তাঁর ১৬ বল থেকে আসল ৪২ রান।
কুশল মেন্ডিস আরও এক ধাপ এগিয়ে। তিনি হাফ সেঞ্চুরি পেলেন। হাফ সেঞ্চুরির পর রানের গতি একটু মন্থর হলেও তাতে শ্রীলঙ্কার কোনো ক্ষতি হল না। রান করার তাড়া ছিল না বলে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংও লম্বা হয়। ৫১ বলে ৭৩ রান করে আউট হন তিনি।
‘ধারহীন’ বোলিং করে গেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বোর্ডে রান কম থাকলে যেমন বোলিং হওয়া চাই তার ধারের কাছেও ছিল না সফরকারীরা। প্রতিপক্ষকে স্কোরবোর্ডের প্রেসারে ফেলা যায়নি। একটা বারের জন্যও মনে হয়নি ম্যাচটা বাংলাদেশ জিততে পারত।
এক ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা, সাত উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। অন্যসময় না হয়, ২০-৩০ রান কম হয়েছে বলে চলে যাওয়া যেত। এবার তাও হচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশ, অন্তত ৫০ কি ৬০ রান কম করেছে। এটাকে আক্ষেপ না বলে অক্ষমতা বলা ভাল।