হোম ভেন্যুতে নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে মাঠে নামছেন তাওহীদ হৃদয়। প্রশ্ন আসতে পারে, বাংলাদেশ থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরের ডাম্বুলা কি করে হৃদয়ের ঘরের মাঠ হয়?
হৃদয়ের স্টার বয় হয়ে ওঠার শুরু এই শ্রীলঙ্কায়। এখানে তিনি দুটো ভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এসএলপিএল)। এর মধ্যে সবচেয়ে সফল তিনি ছিলেন জাফনার হয়ে। সেখানে ছয় ম্যাচ খেলে ১৫৫ রান করেন, প্রায় ১৩৬ স্ট্রাইক রেটে।
চলতি শ্রীলঙ্কা সফরে এই স্ট্রাইক রেটটাই বড় শত্রু তাওহীদ হৃদয়ের। ওয়ানডে সিরিজে দুইটা হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, তাই তিনি রানের মধ্যে নেই – সেটা তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রুও বলতে পারবে না। কিন্তু সংকট তাঁর ইমপ্যাক্টে। ওয়ানডে সিরিজে তাঁর ইনিংস বড় হলেও সেটা অনেক ক্ষেত্রে দলের হারে রেখেছে বড় অবদান।
টি-টোয়েন্টিতেও তিনি আগের মত ইন্টেন্ট দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রায়শই। সর্বশেষ পাল্লেকেলেতে ১৩ বলে করেন ১০ রান। সেই ইনিংসে দলের ব্যাটিং মোমেন্টাম শিফট হয়ে যায়। বড় রান বোর্ডে জমা করার স্বপ্ন দেখিয়েও মাত্র ১৫৪ রান করে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
সমস্যা হৃদয়ের সামর্থ্যে নয়, সমস্যা তাঁর মানসিকতায়। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি যে ইন্টেন্টে ব্যাট করতেন, সেটা এখন অনুপস্থিত। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে যেখানে, পাল্লা দিতে হয় সময়ের সাথে – সেখানে ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছেন তাওহীদ। হৃদয় জয়ের নায়ক এখন বারবার হৃদয় ভঙ্গের কারণ বনে যাচ্ছেন।
আরেকটি সিরিজ হারের দুয়ারে বাংলাদেশ দল। এর আগে যদি জাফনা কিংসের সেই স্টার বয় হলে তাওহীদ হৃদয়ের প্রত্যাবর্তন হয় তবেই কেবল ভাগ্য পাল্টাতে পারে বাংলাদেশ দলের। আর সেটা না হলে, হৃদয়ের জাতীয় দল থেকে বিদায় চাওয়ার লোকের অভাব হবে না।