আইসিসি টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাংকিংয়ে সেরা দশে উঠে এসেছিলেন নাসুম আহমেদ। সেই নাসুম শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন প্রায় বছর দু’য়েক হতে চলল। দলের কম্বিনেশন আর ওয়ানডে পারফরম্যান্সের বিচারে হরহামেশাই কপাল পোড়ে নাসুমের। চান্ডিকা হাতুরুসিংহের সাথে বিবাদের কারণেও তার ক্যারিয়ারে নেমে এসেছিল খরা। সেই খরা এখনও কাটেনি।
২০২২ সালে ৬৩৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নাসুম বনে গিয়েছিলেন দশম সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার। তার আগের পুরো বছর জুড়ে বল হাতে তিনি ছিলেন দূর্দান্ত। নিজের অভিষেকের বছরে ১৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উইকেট নিয়েছিলেন ২২টি। তবে এই নিরিখে নাসুমকে বিচার করাও বরং অনুচিত।
কেননা নাসুম কখনোই স্ট্রাইক বোলার ছিলেন না। তিনি জাত ডিফেন্সিভ বোলার। তিনি প্রতিপক্ষের রানের ধারা শুকিয়ে ফেলতে জানেন। তাতে করে মানসিক পীড়ায় পড়ে অন্য বোলারকে আক্রমণ করতে যায়, আর তাতে করে উইকেটের পতন ঘটে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নাসুমের ইকোনমি রেট স্রেফ ৭.৩২। একটু স্পিনিং ট্র্যাকে তিনি দারুণ।
এশিয়াতে তার বোলিং ইকোনমি ৬.৬৪। কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপে তখনকার হেড কোচ চান্ডিকা হাতুরুসিংহের সাথে বাকবিতণ্ডায় বাংলাদেশ দলের রাডারের বাইরে চলে গিয়েছিলেন নাসুম। এরপর অবশ্য ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনি ফেরত এসেছিলেন হাতুরুর বিদায়ের পর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন উইকেট পেয়েছিলেন। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক উইকেট বাগিয়েছিলেন।
কিন্তু এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দলে ছিলেন না। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা পেলেও প্রথম ম্যাচে ছিলেন না একাদশে। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি সুযোগ পাবেন কি-না তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। ব্যাটিং বিপর্যয়ের ভয়ে দলে ব্যাটার বাড়ানো কিংবা ব্যাটিং ফোকাসড বোলারকে দলে নিতে গিয়ে নাসুম থেকে যান আড়ালে।
যদিও নাসুম ব্যাটিংটা বেশ ভালই পারেন। তবুও এক অদৃশ্য পর্দা তাকে রেখেছে আড়াল করে। নাসুম হয়ত প্রত্যাশা করেছিলেন হাতুরুসিংহের বিদায়ের পর কপাল খুলবে তার। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে দারুণ কার্যকর বোলার হয়েও তিনি পাচ্ছেন না প্রাপ্য সুযোগ। একটা ব্রেক জীবনের অমূল্য সময় কেড়ে নেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। চাইলেই তাই নাসুমকে অভাগা বলা যায়।