লিটন ফিরলেন, সেটা যে করেই হোক!

লিটন দাস সুন্দর কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। নান্দনিক সব শটের পসড়া সাজাতে পারেননি। কিন্তু, তিনি রান করেছেন। তিনি রানে ফিরেছেন। বাংলাদেশ দলের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে গেছে, তখন অধিনায়ক লিটনের ব্যাট ব্যর্থতার লাগামটা টেনে ধরতে পেরেছেন।

লিটন দাস সুন্দর কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। নান্দনিক সব শটের পসড়া সাজাতে পারেননি। কিন্তু, তিনি রান করেছেন। তিনি রানে ফিরেছেন। বাংলাদেশ দলের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে গেছে, তখন অধিনায়ক লিটনের ব্যাট ব্যর্থতার লাগামটা টেনে ধরতে পেরেছেন।

ধীর ছিলেন, স্থীর ছিলেন। ব্যাটে আত্মবিশ্বাস ছিল না শুরুতে। চাহনীতে ছিল রাজ্যের হতাশা। ব্যাটে বলে হচ্ছিল না বল। সংগ্রাম করছিলেন বাইশ গজে। ডাম্বুলার বুকে বাংলাদেশের হতাশা আরও তীব্র হয় যখন মাত্র সাত রানে দুই ওভারের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার।

লিটন রয়ে সয়ে খেলেছেন। ১১ ওভার শেষেও ছিল ৩১ বলে ৩৮ রান। এরপরই গিয়ার শিফট করলেন। পাল্টা আক্রমন করলেন। আর সেই আক্রমণের ভাষা ছক্কা। ৭৭ রানের ইনিংসে চার মাত্র একটা, ছক্কা পাঁচটি। সাজঘরে ফিরেছেন তখনই, যখন বুঝেছেন দলের অবস্থান একটা লড়াইয়ের জায়গায় চলে গেছে।

শুরুর ছন্দপতনের পর বাংলাদেশ দ্বাদশ ওভারে গিয়ে জোড়া উইকেট হারায়। এর আগে পরে দু’টো জরুরী জুটিতে সমান থেকৈ লড়াই করেন লিটন দাস। তৃতীয় উইকেটে জুটিতে তাওহীদ হৃদয়ের সাথে যোগ করেন ৬৯ রান। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে শামিম হোসেন পাটোয়ারির সাথে যোগ করেন ৭৭ রান।

টি-টোয়েন্টিতে ঠিক অ্যাঙ্করিং রোলের কোনো ভূমিকা নেই। তবে, অ্যাঙ্কর করতে চাইলে লিটনের এই ইনিংসটাকে আদর্শ মানা যেতে পারে। আর কি ভয়াবহ দু:সময় তিনি পিছনে ফেলে এই ইনিংস খেললেন। ইনিংস শেষ করেন ১৫২ স্ট্রাইক রেট নিয়ে।

শেষটা নিশ্চয়ই আরও সুন্দর হতে পারত। সেঞ্চুরি দিয়ে রাঙাতে পারলে প্রত্যাবর্তনটা আরও মোক্ষম হত। গেল বছরের জুনে রঙিন পোশাকে সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। লিটনের সেই বাজে সময়টা কাটানো দরকার ছিল। প্রাথমিক সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবার হারানো সময় ফিরিয়ে আনার মিশন।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link