এ কারণেই শামীমকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেওয়া প্রয়োজন!

৪৯ রানে রানআউট হলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। স্ট্রাইক ফেরত পেতে চেয়েছিলেন। শেষের দিকে তো তারই স্ট্রাইকে থাকা উচিৎ। প্রায় ১৭৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি তো জানান দিচ্ছে কেন শামীমের আরও লম্বা সময় ব্যাটিং করা উচিত।

৪৯ রানে রানআউট হলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। স্ট্রাইক ফেরত পেতে চেয়েছিলেন। শেষের দিকে তো তারই স্ট্রাইকে থাকা উচিৎ। প্রায় ১৭৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি তো জানান দিচ্ছে কেন শামীমের আরও লম্বা সময় ব্যাটিং করা উচিত।

ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শামীম বাইশ গজে এলেন ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে। একই ওভারে পরপর  তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায়ের পর তিনি আসেন স্ট্রাইক প্রান্তে। তখনও লিটন দাস আত্মবিশ্বাসের অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। দলের সংগ্রহ তখন চার উইকেটে ৭৮ রান।

সেখান থেকে বাংলাদেশের টোটাল দাঁড়িয়েছে ১৭৭ রান। এর সিংহভাগ কৃতীত্ব চাইলেই শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে দেওয়া যায়। কেননা ৯৯ রানের মধ্যে ৪৯ রানই তো এসেছে তার ব্যাট থেকে। এজন্যে তার খরচ করতে হয়েছে মাত্র ২৭টি বল। একেবারে টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিংয়ের আদর্শ উদাহরণ।

অথচ তিনি নাকি দলের ষষ্ঠ ব্যাটার। এমন একজন ইম্প্যাক্টফুল ব্যাটারকে খেলতে হয় মিরাজের পরে। যে মিরাজ কেন টি-টোয়েন্টির একাদশে- সে প্রশ্ন ওঠে প্রতিবার। কেননা তিনি তো কোনভাবেই টি-টোয়েন্টি ধাঁচে অলরাউন্ডার নন। ব্যাটিংটা তাও তাকে দিয়ে করানো যায় প্রথম পাওয়ার প্লে-তে। কেননা তখন অধিকাংশ ফিল্ডার থাকেন ত্রিশ গজ বৃত্তের ভেতর।

আজকের দিনেও মিরাজ একটা মিসটাইমড শট খেলে ত্রিশ গজ বৃত্তের মধ্যে আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে। অথচ আজকের দিনেই তিনি ম্যাচের আগে ফাইন লেগ ও ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে বল পাঠানো অনুশীলন করেছেন। তবুও তিনি ব্যর্থ।

এমন একজনকে শামীমের চাইতে প্রাধান্য দেওয়া বরং অপরিকল্পনার বাস্তবায়ন। চাপমুক্ত ইনিংস খেলার সুযোগ শামীম পাচ্ছেন না। বরং তাকে মাথায় রাখতে হয় উইকেট খুব একটা বাকি নেই। অথচ তার হাতে রয়েছে বাহারি সব শট। উইকেটের সামনে-পেছনে সমান তালে তিনি রান আদায় করতে পারেন। তাতে করে দল চাপে পড়ার সুযোগ থাকে না।

এই যেমন আজকের দিনে তিনি লঙ্কান বোলারদের শুরুর চাপকে প্রশমিত করে ফেলেছিলেন উইকেটে থেকে। আরেকটু বেশি সময় পেলে তিনি নিজের ইনিংস গড়ার কাজটায় আরেকটু মনোযোগ দিতে পারতেন। চাপমুক্ত অবস্থায় যতবেশি বল তিনি পাবেন ততই তা বাংলাদেশ দলের জন্যে মঙ্গল।

শামীমকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেওয়া এখন সময়ের দাবি। তাছাড়া তাকে বাঁধাহীনভাবে নিজের খেলাটা খেলতে দিতে হবে লম্বা সময় ধরে। তাহলেই হয়ত শামীমের সর্বোচ্চ সার্ভিসটা নিতে পারবে বাংলাদেশ দল। নতুবা একজন স্লগারের আশায় একজন দারুণ ব্যাটার হারিয়ে যাবে সময়ের অতলে।

Share via
Copy link