বেন স্টোকসই ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস

বেন স্টোকস প্রতিদিন রান করবেন না, নিয়মিত ফিফটি কিংবা সেঞ্চুরি তার কাছে আশা করাটা নেহাৎ বোকামি। বল হাতেও তিনি উইকেটের পসরা সাজিয়ে বসবেন না, প্রতিনিয়ত ফাইফার তুলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেবেন না। তবে যে ইমপ্যাক্ট তিনি রাখবেন সেটাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেবে।

বেন স্টোকস প্রতিদিন রান করবেন না, নিয়মিত ফিফটি কিংবা সেঞ্চুরি তার কাছে আশা করাটা নেহাৎ বোকামি। বল হাতেও তিনি উইকেটের পসরা সাজিয়ে বসবেন না, প্রতিনিয়ত ফাইফার তুলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেবেন না। তবে যে ইমপ্যাক্ট তিনি রাখবেন সেটাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেবে।

বড় ম্যাচে চাপ সামলাতে তার জুড়ি নেই, জানেন কীভাবে দলকে পথ দেখাতে হয়, বিপদকে কীভাবে সামাল দিতে হয়। ভারতের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে আবারও যেন সেটারই এক বাস্তব প্রদর্শনী দেখালেন।

একটা রুদ্ধশ্বাস লড়াই হলো তৃতীয় টেস্টে। যেখানে প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেট ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে যখন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয়, তখন মিডল অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ৪৪ রান করে যোগ্য সঙ্গ দেন জো রুটের।

এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে মোমেন্টাম নিজেদের দিকে আনেন ঋষভ পন্তকে সরাসরি থ্রোতে রানআউট করে। শুধু পারফরম্যান্স নয়, স্টোকসের শরীরী ভাষাও দলের জন্য শক্তি হয়ে দাঁড়ায়।

তৃতীয় ইনিংসে আবার ব্যাট হাতে মাঠে নামেন। এবার আরও ভয়াবহ বিপর্যয়। কিন্তু স্টোকস শান্ত থাকলেন, ঠান্ডা মেজাজে করলেন ৩৩ রান। শুনতে কম মনে হলেও, এই ইনিংসটাও ম্যাচের রূপরেখা তৈরি করতে বড় অবদানই রাখে।

টার্গেটটা ১৯৩ রান, ভারতের জন্য কঠিন ছিল না। তবে স্টোকসের চৌকস কৌশলে ধরাশায়ী হয় শুভমান গিলরা। চতুর্থ ইনিংসে বল হাতে নেন ৩ উইকেট। শিকার করেন ইনফর্ম লোকেশ রাহুলকেও।

যখনই অন্য বোলাররা ব্যর্থ হয়েছেন, বল হাতে স্টোকস দায়িত্ব নিয়ে উইকেট তুলেছেন, ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছেন। কেউ যখন স্কোরকার্ডে চোখ বোলাবে, স্টোকসের এই ম্যাচের পারফরম্যান্স হয়তো খুব সাদামাটায় মনে হবে তার কাছে। তবে ব্যাটে–বলে, ফিল্ডিংয়ে কিংবা নেতৃত্বে স্টোকস ছিলেন ইমপ্যাক্টফুল এক প্যাকেজ। তাই তো মিডিওকার স্টোকস দিন শেষে ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস, দলের সবশেষে বড় ভরসা!

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link