শেখ মেহেদী একজন বুদ্ধিমান ‘বোলার’। কিন্তু বিনা দোষে তিনি দোষী। জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক থেকে ভাবনার বাইরে তিনি। অবচেতন মনেও হয়ত তিনিও ভাবেন, তাঁর দোষটা আসলে কি?
হ্যা, শেখ মেহেদী হাসানের দোষ আপনি অন্তত খুঁজে পাবেন না। তিনি বোলার, দারুণ স্পিন বোলার। লাইন আর লেন্থ একেবারে নাভিশ্বাস তুলে দিতে পারেন। ধরের উপরে থাকা মস্তিষ্ককেও তিনি প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যবহার করতে পারেন।
এ কারণেই তো চাইলেই তাকে দিয়ে বোলিং ইনিংসের শুরু করানো যায়, আবার চাইলেই তাকে ডেথ ওভারে বোলিং করানো যায়। ‘ভার্সেটাইল অর্থডক্স স্পিনার’। কিন্তু বাংলাদেশ দল তাকে ভাবে অলরাউন্ডার। যে ব্যাটিং-বোলিং দু’টোতেই সমান পারদর্শী।
আর এখানেই বাঁধে বিপত্তি। শেখ মেহেদি একজন বোলার, যিনি কি-না টুকটাক ব্যাটিং করতে পারেন। আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে তার বোলিং ভীষণ কার্যকর। স্পিনার হয়েও তিনি ইয়োর্কার করতে জানেন। তার কাছ থেকে দারুণ ব্যাটিং প্রত্যাশা করাই তো বোকামি।
তবুও এই শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেও মেহেদী ছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের মূল ভাবনাতে। তাকে দেওয়া হয়েছিল সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও। কিন্তু, হুট করেই তিনি পরিকল্পনার ছকের বাইরে চলে গেলেন।
এমনকি সহ-অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে তাচ্ছিল্য করেন টিম ম্যানেজার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার পরিবর্তে মেহেদী হাসান মিরাজ সুযোগ পেয়েছেন একাদশে।
যদিও সেই দুই ম্যাচে মিরাজের নামের পাশে উইকেট রয়েছে দু’টি। তবুও প্রশ্ন উঠেছে কেন টি-টোয়েন্টি দলে মিরাজ? ব্যাটিংটা একটু ভাল পারেন বলেই হয়ত মিরাজ প্রাধান্য পান। কিন্তু মিরাজের ব্যাটিংও যে টি-টোয়েন্টি সুলভ নয়- এ তথ্যও নিশ্চয়ই অজানা নয়।
ভুল নিরিখে খেলোয়াড়দের পরিমাপ করাই বরং কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলকে পিছিয়ে দিচ্ছে অনেকটাই। মেহেদীদের প্রতিভার ঠিকঠাক ব্যবহার করা হয়ে উঠছে না। তাতে ক্ষতি ছাড়া দ্বিতীয় কোন কিছু ঘটছে না, দেশের ক্রিকেটের সাথে।