একটা দীর্ঘ বিরতি, প্রায় আট বছর পর আবারও ইংল্যান্ডের টেস্ট একাদশে লিয়াম ডসন। সেই যে ২০১৭ সালে সফেদ জার্সিতে নেমেছিলেন তিনি। এরপর রীতিমত কাটিয়েছেন নির্বাসন। অবশেষে ভারতের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে তিনি ফিরেছেন জাতীয় দলে। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে প্রথম দিনেই উইকেট বাগিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
২০১৬ সালে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয় লিয়াম ডসনের। সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ তিনি খেলেছিলেন ২০১৭ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজের ম্যাচের পর তিনি অদৃশ্য হয়ে যান দৃশ্যপট থেকে। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মোহনীয় ভুবনে হারিয়ে যান তিনিও।
তবে সব পথ হারানো পথিক তো একদিন ঠিক নীড়ে ফেরে। ডসনও তাই ফিরলেন টেস্ট ক্রিকেটে। ভারতীয় ওপেনার যশ্বসী জয়সওয়ালকে আউট করেন তিনি। ফিফটি করে ইংল্যান্ডের জন্যে চাপের কারণ হয়ে উঠছিলেন জয়সওয়াল। তার উইকেটই তুলে নেন ডসন।
তিনি শেষবার যখন টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন, তখন আর এখনকার ইংল্যান্ড দল বদলে গেছে আমুলে। ২০১৭ সালের সেই দলের স্রেফ জো রুট এবং বেন স্টোকস এখনও টিকে আছেন জাতীয় দলে। এই দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহরের সমাপ্তি অবশ্য ঘটেছে পারফরমেন্সের বলে।
২০২১ সাল থেকেই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম করে যাচ্ছিলেন তিনি ধারাবাহিকভাবে। গত পাঁচ মৌসুমে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি নয়টি। একজন অলরাউন্ডার হিসেবে উইকেট শিকারেও তিনি দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। জাতীয় দলে ফেরার আগে ১২ বার পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন তিনি এক ইনিংসে। তিন ম্যাচে তো দশ উইকেট শিকার করার কীর্তিও গড়েছেন তিনি।
দারুণ পারফরম করেই জাতীয় দলের কড়া নাড়ছিলেন তিনি। তবুও অবরুদ্ধ দরজা খুলতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে শোয়েব বশিরের ইনজুরির জন্যে। লর্ডস টেস্টে আঙুলের চোটে পড়েছেন বশির। সে কারণেই ডসনের কপাল খুলেছে। ভাগ্য বদলের এই অধ্যায়কে দীর্ঘায়িত নিশ্চয়ই করতে চাইবেন লিয়াম ডসন।