ক্রিকেটের চিরকালীন ধাঁধা সাঈদ আজমল। যখন দুসরা সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন, তখনও কেউ তেমন একটা তাঁকে বুঝতো না। এখন যখন বয়স প্রায় ৫০-এর কাছাকাছি চলে গেছে – তখনও তিনি দুর্বোধ্য। অফস্পিনে আজও তিনি কাঁপুনি ধরানে জানেন প্রতিপক্ষের বুকে।
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসে নিজের হারানো দিনের এক ঝলক দেখালেন তিনি। আজমলের ঘূর্ণি জাদুতে নীল হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। আজমল একাই নিলেন ছয় উইকেট। মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া দল। আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা পাকিস্তান জিতে গেল দশ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ক্যারিয়ার জুড়ে সাড়ে চারশ আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক সাঈদ আজমল ছিলেন নিজের সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা অফ স্পিনার। বোলিং অ্যাকশনের জন্য বারবার নিষেধাজ্ঞা না পেলে, নি:সন্দেহে ক্যারিয়ারটা আরও লম্বা হত।
খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করে কোচিংয়ে নাম লেখানো আজমলের বয়স এখন ৪৭। বয়স বাড়লেও তিনি যে নিজের হাতে গড়া শিল্পটা ভুলে যাননি, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচটা জিততে পারলে, সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেত। সেটা আর আজমল হতে দিলেন কোথায়।
আজমল গুঁড়িয়ে দেন অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্সের লোয়ার মিডল অর্ডার। শুরুটা করে বেন ডাঙ্ককে দিয়ে। দুই রানে ফিরিয়ে দেন ডি আর্চি শর্টকে। এরপর গোল্ডেন ডাক মারেন ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান। এরপর একে একে ফিরে যান বেন কাটিং, পিটার সিডল এবং স্টিভ ও’কিফ। সবাই আজমলের শিকার। মাত্র ৩.৫ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় শিকার করলেন ৬ উইকেট!