এশিয়া কাপে ভারত বরাবরই ফেবারিট। এবারের আসরেও শক্তিমত্তা বিবেচনায় সবার উপরই থাকবে সুরিয়াকুমার যাদবের দল। তবে এই টুর্নামেন্টে যেকোনো দলই হয়ে উঠতে পারে কঠিন প্রতিপক্ষ।
বিশেষ করে অন্য দলের নেতৃত্বে থাকা নামগুলো হতে পারে চিন্তার কারণ। প্রতিপক্ষের অধিনায়করা যদি সামনে থেকে দলকে টেনে নেন, তবে ভারতের আধিপত্যে ধাক্কা লাগতেই পারে। দেখা নেওয়া যাক এবারের আসরে ভারতের বড় বাধা হতে পারেন কোন অধিনায়ক।
- সালমান আলী আঘা
পাকিস্তান দলের এখন বড় ভরসার নাম সালমান আলি আঘা। দলের দায়িত্বভার যেমন রয়েছে তেমনই দলটির মিডল অর্ডার সামলানোর দায়িত্বও থাকছে তাঁর কাঁধে। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ব্যাট হাতে এখন পর্যন্ত সালমান ১৬ ইনিংস খেলে রান করেছেন ৩৭৬, ব্যাটিং গড় ৩১.৩৩।
তাঁর স্ট্রাইক রেটটা খুব একটা আশা জাগানিয়া নয়। তবে চাপের মুহূর্তে হাল ধরতে পারার সামর্থ্য আছে। সেই সাথে বল হাতেও বেশ কার্যকর। এশিয়া কাপে তাই তো দলের মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন তিনি।

- চারিথ আসালাঙ্কা
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার ওয়ানডে পারফরম্যান্স ভালো হলেও, টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে ঠিকঠাক মেলে ধরতে পারছেন না। নেতৃত্ব কাঁধে নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১৫ ইনিংসে করেছেন ২৭৪ রান। গড়টা ২২.৮৩। তবে ১৪৭.৩১ স্ট্রাইক রেট টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ।
শ্রীলঙ্কার নড়বড়ে ব্যাটিং লাইনআপে তাই তো তিনি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ভালো স্পিন সামলাতে পারেন, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করতে পারেন। যা এশিয়া কাপে লঙ্কানদের বড় ভরসা।

- লিটন দাস
বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস যেদিন জ্বলে উঠেন সেদিন প্রতিপক্ষের কিছুই করার থাকে না। টেকনিক্যালি বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার হলেও ধারাবাহিকতার অভাবে তা সবসময় ঢাকা পড়ে থাকে।
অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর লিটন ১৬ ইনিংসে ব্যাট হাতে রান করেছেন ২৮৯। গড় ১৮.০৬, স্ট্রাইক রেটটা ১২০.৪১ যা আধুনিক টি-টোয়েন্টির জন্য বেমানান।
তবে একবার ছন্দে এলে তাকে থামানো কঠিন। আর ভারতকে সামনে পেলেই যেন জ্বলে ওঠেন, এই দলের বিপক্ষে তার স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৫০, যা সুরিয়াকুমার যাদবের দলের জন্য হুমকি।

- রশিদ খান
লেগ স্পিনার হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে সময়ের সেরা রশিদ খান। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে যদিও ভাটা পড়েছে। তবুও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে রাজত্ব করা রশিদ যেকোনো দলের জন্যই ভয়ঙ্কর নাম।
অধিনায়ক হিসেবে রশিদের পরিসংখ্যান বেশ ভালো। ২৯ ম্যাচ খেলে উইকেট তুলেছেন ৪৮টি। সেই সাথে ইকোনমি রেট মাত্র ৫.৮৩। ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য তিনি হতে পারেন মাথাব্যথার কারণ।
আইপিএল নিয়মিত খেলায় অধিকাংশ ব্যাটারদের দুর্বলতা ভালোভাবেই জানা আছে তাঁর, সেই সাথে এশিয়ার কন্ডিশনে রশিদের স্পিন যেন এক গোলকধাঁধা। সব মিলিয়ে তিনি হতে পারেন বড় বাধা।

সব মিলিয়ে বলা যায় পরিসংখ্যান বিবেচনায় রশিদ খানই ভারতের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। তাই তো তাঁকে সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হতে পারে ভারতীয় দলের।











