অভিষেকের আরও এক হেভিমেটাল পারফরমেন্স

তার ইনিংস দিনশেষে শোনায় আগ্রাসনের ঝঙ্কার। প্রত্যাশার পাহাড় চূড়ায় এখন তার অবস্থান। একদিন হয়ত পা হড়কে যাবে। কিন্তু সেদিন তাকে আগলে রাখবে বর্তমানের সকল পরিসংখ্যান।

টানা তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি। অভিষেক শর্মা বনে গেছেন দুর্বার গতির পাগলা ঘোড়া। ব্যাটের আঘাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের করছেন তিনি কচুকাঁটা। মোটেও তা সাধারণ বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে নয়। পাকিস্তান, বাংলাদেশের পর শ্রীলঙ্কার বোলারদেরও তিনি দেখালেন নিজের রুদ্রমূর্তি। তুলধুনো করলেন ছড়িয়ে ফুর্তি।

গোটা দুনিয়ার টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে কেন অভিষেক বিশ্বসেরা- সে প্রমাণ তিনি রাখছেন প্রতি পদে পদে। এবারেরে এশিয়া কাপকে রাঙিয়ে যাচ্ছেন নিজস্ব রঙে। তিনিই এবারের টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও দেখিয়ে গেলেন নিজের আগ্রাসন। চারিথ আসালাঙ্কার বলে আউট হওয়ার আগের মুহূর্তেও তার স্ট্রাইকরেট ছিল ২০০ ছাড়ানো।

এই স্ট্রাইকরেটই অভিষেকের সবচেয়ে বড় বিশেষণ। এদিন তিন ৩১ বলে ৬১ রান করে আউট হয়েছেন। হাঁকিয়েছেন আট খানা চার, আর দুই খানা ছয়। তার কাছ থেকে ভারত এত বড় ইনিংস প্রত্যাশাই করে না। তিনি স্রেফ পাওয়ার প্লে-এর পূর্ণ ব্যবহার করে, দলকে এনে দিবেন শুভসূচনা। সেই দায়িত্ব নিয়েই তিনি খেলেছেন টুর্নামেন্টের প্রথমভাগে।

কিন্তু অল্পতেই কেন সন্তুষ্ট হবেন তিনি? বিশ্বসেরা ব্যাটার প্রমাণের সুবর্ণ সুযোগ হেলায় কেনই বা হারাবেন? হারালেন না পাঞ্জাবের বা-হাতি ব্যাটার। সুপার ফোরের প্রতিটি ম্যাচে অর্ধশতক ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। তার স্ট্রাইকরেটকে বিন্দুমাত্র স্তিমিত হতে দেননি। ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে নিজের নামের পাশে বড় বড় ইনিংস যুক্ত করেছেন অবলীলায়।

বাইশ গজে অভিষেক যেন রীতিমত এক হেভিমেটাল ব্যান্ড। তিনি একাই বাজান বেজ গিটার, ব্যাটের আঘাতে সৃষ্টি করেন ড্রামের নিনাদ। তার ইনিংস দিনশেষে শোনায় আগ্রাসনের ঝঙ্কার। প্রত্যাশার পাহাড় চূড়ায় এখন তার অবস্থান। একদিন হয়ত পা হড়কে যাবে। কিন্তু সেদিন তাকে আগলে রাখবে বর্তমানের সকল পরিসংখ্যান।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link