ইব্রাহিমের জাদরানের ‘ওয়ান ম্যান শো’!

১৯১ রানের লক্ষ্যে কিভাবে ব্যাট করা উচিত বাংলাদেশ তা  শিখতে পারত ইব্রাহিম জাদরানের কাছ থেকে। পরিস্থিতি যখন কঠিন, প্রতিপক্ষের বোলাররা যখন চেপে ধরে, সে সময়টা কিভাবে শান্ত থাকতে হয় তা দেখিয়েছেন এই আফগান ওপেনার। আর দিনশেষে ওটাই যে গড়ে দিয়েছে পার্থক্য।

১৯১ রানের লক্ষ্যে কিভাবে ব্যাট করা উচিত বাংলাদেশ তা  শিখতে পারত ইব্রাহিম জাদরানের কাছ থেকে। পরিস্থিতি যখন কঠিন, প্রতিপক্ষের বোলাররা যখন চেপে ধরে, সে সময়টা কিভাবে শান্ত থাকতে হয় তা দেখিয়েছেন এই আফগান ওপেনার। আর দিনশেষে ওটাই যে গড়ে দিয়েছে পার্থক্য।

পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে তখন সাজঘরের পথে হাঁটা শুরু করেছেন ইব্রাহিম জাদরান। সতীর্থ আল্লাহ গজনফার পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনার সঙ্গে বাহবাও দিলেন। জাদরানের ৯৫ রানের এই ইনিংসটা অবশ্য বাহবা পাওয়ার যোগ্যও বটে। আহত সেনাপতির মতো তিনি লড়েছেন একা হাতে।

সেই শুরু থেকে ইব্রাহিমের ব্যাট গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। এক প্রান্তে একে-একে সবাই যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত, ইব্রাহিম তখন ধৈর্যের ব্রত নিলেন। মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন ক্রিজে। দাঁতে দাঁত চেপে সামলালেন মিরাজ–রিশাদদের ধেয়ে আসা ঘূর্ণিকে।

আফগান শিবির যতবার উইকেট হারিয়ে ভেঙে পড়েছে, ততবারই ডাগ-আউটে বিশ্বাসের বার্তা পাঠিয়েছেন ইব্রাহিম। ওই বিশ্বাসের জোরে ভর করেই তো ফিফটি পেরিয়ে সেঞ্চুরির পথে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

তবে বিপত্তি বাধল মিরাজের ওই একটা বলে, মিড–উইকেট থেকে রিশাদের দূরন্ত ক্যাচে কাটা পড়লেন ৯৫ রানে। আফসোসের স্ফুলিঙ্গ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে বোধহয় বুকের ভেতর তোলপাড় করে দিচ্ছিল তাঁর। ওয়ান ম্যান শো যে পূর্ণতা পেল না আর।

মাত্র ১৯০ রানে থেমে গেল আফগানিস্তানও। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রানটা তাঁরই, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানটা মাত্র ২২। স্পষ্টতই আফগানদের পুরো ইনিংস জুড়ে ছিল ইব্রাহিমের একার লড়াই।

শেষটাতে পাঁচ রান যেন পাহাড়সম আক্ষেপ হয়ে দাঁড়াল ইব্রাহিমের জন্য। ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তায় গড়া ইনিংস রূপ নিল হতাশায়। তবুও তৃপ্তির হাসি তিনি হাসতেই পারেন, তাঁর ব্যাটিংয়ের সুবাদেই যে জয়ের হাসি হেসেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের ব্যাটারদের চোখে আঙুল দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link