কুলদ্বীপ যাদব, প্রচুর আন্ডাররেটেড ভারতীয় এক স্পিনার। এই তো সেদিন, কুলদ্বীপ জিতলেন এশিয়া কাপের মোস্ট ভেল্যুয়েবল খেলোয়াড়ের খেতাব। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম টেস্টেই বাগিয়ে নিলেন চার উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে আবারও দেখালেন নিজের ঘূর্ণি জাদু। এক ইনিংসেই তিনি পকেটে পুরেছেন পাঁচটি উইকেট।
ভারতের বোলিং আক্রমণের এক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কুলদ্বীপ। অল ফরম্যাট পারফরমার। তবুও কেন জানি তিনি এক অদৃশ্য পর্দার আড়ালে থেকে যান সর্বদা। টিম কম্বিনেশনের ভাবনা থেকে ছাটাই তালিকায় প্রথমেই চলে আসে তার নাম। অথচ যখন, যেখানে তিনি খেলতে নামেন- তখনই দলকে উইকেট এনে দেন। খেলার ভোল পালটে দেন।
এই যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি তুলে নিলেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফাইফার। দিল্লি টেস্টের তৃতীয় দিনে তিনি এসে তিনি ফাইফার পূর্ণ করলেও, এই ভীত গড়ে রেখেছিলেন দ্বিতীয় দিনেই। অ্যালিক অ্যাথানেজকে ৪১ রানে ফিরিয়ে তিনি শুরু করেন নিজের উইকেট শিকারের যাত্রা।

তৃতীয় দিনে জেডন সিলসের উইকেট তুলে নিয়ে তিনি ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি রেখা টেনে দেন। জার্সি বদলায়, ফরম্যাট বদলায়, সেই সাথে বদলায় বোলিং লেন্থও। কিন্তু বল হাতে কুলদ্বীপে উইকেট শিকার যেন এক ধ্রুব সত্য, এক চিরন্তন ঘটনা। চর্মগোলকের রঙ যেমনই হোক, সাম্প্রতিক সময় কখনোই কুলদ্বীপ ছড়াননি মলিনতা।
তবে তাকে নিয়ে আলোচনা ততটাও প্রখরতা পায় না। তার দূর্দান্ত পারফরমেন্সও প্রশংসার চাদরের উষ্ণতা ছুঁয়ে দেখে খুব কমই। সেসব নিয়ে অবশ্য মাথা ব্যথা নেই কুলদ্বীপের। তিনি নিরবে-নিভৃতে নিজের কাজটা করে যেতে চান।
যেমনটি করে গেছেন সর্বশেষ এশিয়া কাপে। জাসপ্রিত বুমরাহের নিদারুণ বাজে পারফরমেন্সের উপরও তিনি প্রলেপ লেপ্টে দিয়েছিলেন। তবুও তাকে নিয়ে আলোচনা হয়নি ততটাও যতটা আলোড়নের কেন্দ্রে ছিলেন অভিষেক শর্মা।












