এলেন, দেখলেন, জিতলেন- ওয়াশিংটন সুন্দরের দারুণ ইনিংসের বর্ণনা এর থেকে আর ভালভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। অস্ট্রেলিয়ার দম্ভের উপর দাঁড়িয়ে, সুন্দর দেখালেন নিজের ব্যাটিং শৈলীর সৌন্দর্য। জয়ের বন্দরে ভেড়ালেন ভারতের তরী। সিরিজে ফিরিয়ে আনলেন সমতা।
আগের দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাদশে ছিলেন না ওয়াশিংটন সুন্দর। দল তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল। আর সেই ভাবনার ভীতের উপর দাঁড়িয়ে দারুণ এক ম্যাচ জয়ী এক ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন বা-হাতি এই বোলিং অলরাউন্ডার। বোলিং অলরাউন্ডার হলেও, এদিন অবশ্য তাকে বল হাতে আক্রমণেই আনেননি অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব।
ষষ্ঠ বোলার হিসেবে অভিষেক শর্মা বোলিং করলেও, সুন্দরকে ব্যবহার করেনি ভারত। পরিস্থিতি আর প্রয়োজনীয়তার ভাবনা থেকেই হয়ত এমন সিদ্ধান্ত। তাছাড়া তার ব্যাটার সত্ত্বাকে কাজে লাগানোর পূর্ব পরিকল্পনা ছিল ভারতের, রান তাড়ায় সে বিষয়টিই যেন স্পষ্ট করেছেন সুন্দর। জিতেশ শর্মা, শিভাম দুবেদের আগে তিনি নেমেছেন ব্যাটিংয়ে- তাতেই বরং পরিষ্কার হয়েছে ভারতের ভাবনা।

প্রায় ২১৩ স্ট্রাইকরেটের মারকাটারি ইনিংসে তিনি লিখলেন ভারতের জয়ের গল্প। অল্পের জন্য ব্যক্তিগত ফিফটি পাওয়া হয়নি তার। ২৩ বলে ৪৯ রানে তিনি থেকেছেন অপরাজিত। জয় অন্বেষণের পথে তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন সাতটি। যার চারটিই ছিল হাওয়ায় ভাসা বাউন্ডারি।
এমন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই নয় বল আর পাঁচ উইকেট বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতেছে ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান এসেছে তার হাত ধরে। প্রয়োজনের মুহূর্তে তিনি যেন আবির্ভূত হয়েছিলেন রীতিমত ত্রাণকর্তা হিসেবে। ১৮৭ রানের টার্গেটে দিনশেষে ভারতের জয়কে সাবলীল মনে হলেও, ততটাও সহজ সাধ্য ছিল না।
আক্রমণাত্মক উদ্বোধনের অভাব কাটিয়ে, মিডল অর্ডারের নড়বড়ে অবস্থা ছাপিয়ে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়া ভীষণ কঠিন। কিন্তু সুন্দরের ইস্পাত কঠিন সংকল্পের সামনেই বরং হার মেনেছে অজিদের দাপট।












