একে একে সবাই যখন ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরায় ব্যস্ত, সালমান আলী আঘা তখন এক প্রান্তে অটল বিশ্বাসে অবিচল। দলের ভরসা হয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকলেন, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকটি ছুঁয়ে দেখলেন। সেই সাথে মৃতপ্রায় স্কোরবোর্ডে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটালেন একা হাতে।
ফখর জামান, সায়িম আয়িউব তখন ফিরে গেছেন সাজঘরে। মোহাম্মদ রিজওয়ানও আশা জোগাতে পারেননি। সালমান ক্রিজে এসে পেয়েছিলেন বাবর আজমকে। তবে তাঁর চলে যাওয়াও তাকিয়ে দেখতে হয়েছে সালমানকে। ৯৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তখন একেবারে কোণঠাসা।
হাত বাড়িয়ে দিলেন হুসাইন তালাত। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই সালমান লড়াইয়ে নামলেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানাদের ভয় ধরানো বোলিংয়ের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন দুজনে। আর তাতেই এলো ১২১ বলে ১৩৮ রানের অনবদ্য জুটি।

তালাত থেমে গেলেন ৬২ রানে। সালমান ভালো করেই জানতেন, কাজটা এখনও অনেক বাকি। মোহাম্মদ নাওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে আবারও নতুন উদ্যমে চলতে শুরু করলেন। শেষ পর্যন্ত এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ডিজিটটা ধরা দিল দ্বিতীয় বারের মতো। ব্যাটটা যখন উঁচিয়ে ধরলেন, রাতের আঁধার কাটিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে তখন উঁকি দিচ্ছে নতুন সূর্য।
শেষমেশ অপরাজিত থাকলেন ৮৭ বলে ১০৫ রানের অবিস্মরণীয় এক ইনিংস খেলে। দলও পেয়েছে ২৯৯ রানের বড় পুঁজি। অবশ্য শেষ দিকে এর কৃতিত্ব মোহাম্মদ নাওয়াজেরও প্রাপ্য। ২৩ বলে ৩৬ করে ফিনিশিং টাচটা দিয়েছিলেন সুনিপুণভাবে।
তবে সব আলো যে এক সালমানই কেড়ে নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে যেমন-তেমন হলেও ওয়ানডেতে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার আগলে রাখছেন দক্ষ সেনানীর মতো। শেষ পাঁচ ইনিংসে দুই ফিফটির সঙ্গে এক সেঞ্চুরি ধারাবাহিকতার স্লোগান তুলে জানিয়ে দিচ্ছে, সালমান এই মুহূর্তে দলের সবচেয়ে বড় ভরসা।












