হামজা চৌধুরি এসেছেন, এসেছেন সামিত সোমও। দলে যুক্ত হয়েছেন কিউবা মিচেল। আছেন জায়ান আহমেদও। বাংলাদেশ ফুটবল দল আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বড্ড শক্তিশালী। এএফসি এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের আর কোন সম্ভবনা বাকি না থাকলেও, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা জিততে চায় প্রত্যেকে। সেই ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবেই নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে দল।
কার্ডজনিত সমস্যার কারণে এই ম্যাচে পাওয়া যাবে না ফাহমিদুল ইসলামকে। সে কারণেই নেপালের বিপক্ষেও ম্যাচে নেই তিনি। অন্যদিকে বয়সভিত্তিক দল থেকে মুর্শেদ আলী ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। নেপালের বিপক্ষে তাকে হয়ত দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের জার্সিতে।
বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে চাইবে ঘরের মাঠে দাপটা দেখাতে। নেপালের বিপক্ষে এই তো ক’দিন আগেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেই ম্যাচে ছিলেন না হামজা চৌধুরি কিংবা সামিত সোম। তাদেরকে ছাড়া, গোল শূন্য ড্র-তে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল জামাল ভুঁইয়াদের।

নেপালের রাজনৈতিক পটভূমিতে পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বৈরী পরিবেশে, সেই সফরের দ্বিতীয় ম্যাচটি আর মাঠে গড়ায়নি। অতএব দুই দলই মুখিয়ে আছে জয়ের জন্য। যদিও নামের ভার ও সাম্প্রতিক পারফরমেন্স সব দিকেই এগিয়ে আছে বেঙ্গল টাইগাররা। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে একটি পয়েন্টও জোগাড় করতে পারেনি নেপাল।
বাংলাদেশ বেশ ক’বার জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হতাশ হয়েছে। তবুও তাদের ঝুলিতে আছে দু’টো পয়েন্ট। ঘরের মাঠে হংকং ম্যাচের আগে অবধি বাংলাদেশের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বাকি। এছাড়াও এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে, বাংলাদেশ সাত গোল হজমের বিপরীতে গোল করেছে পাঁচটি। সেদিকেও পিছিয়ে আছে নেপাল।
মালেয়শিয়ার বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচর আগে নেপালের হজম করা গোলের সংখ্যা আটটি। নেপাল স্রেফ দুইবারই পেয়েছে গোলের ঠিকানা। অতএব শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের চাইতে এই মুহূর্তে পিছিয়ে আছে নেপাল। সুত্তারাং তাদের বিপক্ষে জয় ব্যতীত ভিন্ন কিছু ভাববার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই বাংলাদেশের সামনে।

কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা নিশ্চয়ই জয়ের পরিকল্পনার ছকই এঁকেছেন। তার কাছেও যে ভিন্ন কোন পথ খোলা নেই। দর্শক মহলে তার জনপ্রিয়তা এখন প্রায় তলানিতে। নেপালের বিপক্ষেও তিনি দলকে জেতানোর টোটকা সাপ্লাই করতে না পারলে- বাংলাদেশে তার অধ্যায় সমাপ্তি ঘটা স্রেফ সময়ের বিষয় মাত্র। তবে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভারতের বিপক্ষে বহুল আকাঙ্ক্ষিত জয়।
ঘরের মাঠে ভারতকে হারানোর জন্য মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ। সে কারণেই হামজা-সামিতরাও এসে যুক্ত হয়েছেন দলের সাথে। তবে কিউবা মিচেলের জন্য নেপালের ম্যাচটা দারুন চ্যালেঞ্জের। ক্যাবরেরার পরিকল্পনায় জায়গা করে নেওয়ার এর থেকে ভাল সুযোগ তিনি হয়ত পাবেন না। কিউবা তাই নেপাল ম্যাচেই চাইবেন নিজের জাত চেনাতে। দেখার বিষয়, আদোতে বাংলাদেশ পারে কি-না দাপট দেখাতে।











