কামিন্সের প্রত্যাবর্তনের পরও স্মিথের হাতেই থাকবে অধিনায়কত্ব!

প্যাট কামিন্স ফিরলেও কি সিরিজের বাকি ম্যাচ গুলো স্টিভেন স্মিথেরই ক্যাপ্টেন্সি করা উচিৎ?

অ্যাশেজ, ক্রিকেটের চূড়ান্ত অহংকারের লড়াই। সেই লড়াইয়েই অস্ট্রেলিয়া এখন করছে অপ্রতিরোধ্য। সেই যুদ্ধে দামামা বাজাতে এবার অস্ট্রেলিয়ার ডেরায় ফিরছেন আরেক অজি সৈনিক প্যাট কামিন্স। তবে প্যাট কামিন্স ফিরলেও কি সিরিজের বাকি ম্যাচ গুলো স্টিভেন স্মিথেরই ক্যাপ্টেন্সি করা উচিৎ?

১৭ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অ্যাশেজের ৩য় টেস্ট ম্যাচ। এই ম্যাচেই দীর্ঘ বিরতির পর ফিরছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে তাঁর দলে ফেরাটা নিশ্চিতভাবেই বড় একটা সুখবর। তবে সে ফিরলেও স্মিথেরই বোধহয় ক্যাপ্টেন থাকা উচিত। অ্যাশেজ ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে স্মিথের রেকর্ড সত্যিই ব্যতিক্রমী।

অ্যাশেজে মোট ৮ টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে স্মিথকে এখনো পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়নি। এক ড্রয়ের বিপরীতে, জিতেছেন ৭টি। তাই নিশ্চিতভাবেই জয়ের শতকরাটাও ৮৭ পেরিয়ে। এ পরিসংখ্যান কেবল সংখ্যা নয়, এটি বড় ম্যাচে তাঁর মানসিক দৃঢ়তার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি।

তবে প্যাট কামিন্সকে আপনি কোনভাবেই পিছিয়ে রাখতে পারবেন না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আট ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে তিনিও তুলে নিয়েছেন পাঁচটি জয়। জয়ের শতকরাটা ৬২.৫। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন ইঞ্জুরি পরবর্তী কামিন্সের ফিটনেস।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর প্রথমবারের মতো দলে ফিরছেন তিনি। তাই বোধ করি সিরিজের বাকি তিনটা ম্যাচ থেকে একটা কি দুইটা ম্যাচই খেলবেন কামিন্স। ইতোমধ্যে ২-০ তে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার মূল লক্ষ্য হবে তাঁর ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণে রাখা। যেন ভবিষ্যতে তিনি পুরোপুরি ফিট থাকেন।

এই পরিস্থিতি তে দারুণ ছন্দে থাকা দলের অধিনায়ক পরিবর্তন করা কি যুক্তিযুক্ত? বর্তমান ফর্ম, মানসিক দৃঢ়তা আর প্রতিপক্ষের উপর আধিপত্য সব মিলিয়ে স্টিভ স্মিথই এই মুহুর্তে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বাজি। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, অধিনায়কত্বের চাপ মুক্ত কামিন্স একজন বোলার হিসেবে আরও বেশি কার্যকর।

অধিনায়কত্ব চলাকালীন সময়ে ৬৭ ইনিংসে প্রতি ২২.৬৬ রান খরচয়ায় ১৪৫ টি উইকেট তুলেছেন। অন্যদিকে অধিনায়কত্বের চাপ মুক্ত কামিন্স ৬৫ ইনিংসে প্রতি ২১.৫৯ রান খরচায় ১৬৪ টি উইকেট তুলেছেন। স্মিথের নেতৃত্বে দারুণ ছন্দে থাকা অস্ট্রেলিয়াও নিশ্চিতভাবেই এখন ‘নেতা’ কামিন্স থেকে ‘পারফরম্যার’ কামিন্সকেই পেতে পাইবে।

লেখক পরিচিতি

ক্রীড়াচর্চা হোক কাব্য-কথায়!

Share via
Copy link