ট্রানজিশনের জন্যে প্রস্তুত তো অস্ট্রেলিয়া?

কিন্তু স্টার্কের চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্সের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে শঙ্কা। অস্ট্রেলিয়া কি নিজেদের দিন বদলের জন্য আসলেই প্রস্তুত? 

চার ইনিংসে, ১৮ উইকেট, দু’টো ফাইফার। মিচেল স্টার্কের দুর্ধর্ষ পারফরমেন্সে মর্যাদার অ্যাশেজের এখন অস্ট্রেলিয়ার একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু স্টার্কের চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্সের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে শঙ্কা। অস্ট্রেলিয়া কি নিজেদের দিন বদলের জন্য আসলেই প্রস্তুত?

এমন প্রশ্নটা চাওড় হয়েছে। আর এটাই বরং অজিদের জন্য হতে পারে ভীতির কারণ। চলতি অ্যাশেজ সিরিজে এখন অবধি ১৮ খানা উইকেট স্টার্ক নিলেও বাকিদের পারফরমেন্স মোটেও সন্তোষজনক নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন স্কট বোল্যান্ড। তার উইকেট সংখ্যা, ৭। অর্থাৎ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির সাথে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বোল্যান্ডের উইকেটের পার্থক্য ১১টি।

এটাই মূলত দুশ্চিন্তার কারণ। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের সম্মুখ সারির দুই সেনানী প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউডের অভাবটা বেশ প্রকট আকার ধারণ করতে পারত। যদিনা একাই বাজিমাত করে দিতেন মিচেল স্টার্ক। কিন্তু তারও তো বয়স ফুরিয়ে যাচ্ছে। এমনকি কামিন্স ও হ্যাজেলউডের ক্যারিয়ারও পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে।

অতএব যেকোন সময় বিদায় ঘন্টা বেজে যেতে পারে। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া অন্তত এই তিন বোলারের বিকল্প এখনও খুঁজে পায়নি। চলতি বছরের জুন থেকে এখন অবধি স্টার্ক, হ্যাজেলউড ও কামিন্সের সম্মিলিত উইকেট সংখ্যা ৫৫টি। তাদেরকে ছাড়া বাকি বোলারদের সম্মিলিত উইকেট সংখ্যা ৪২টি।

এর মধ্যে পেসারদের উইকেট মাত্র ২৬টি। অতএব তফাৎ একেবারে দিনের আলোর মতই পরিষ্কার। অতএব এখনই সময় অস্ট্রেলিয়ার নতুন করে অন্বেষণ শুরু করার। ঘরোয়া সার্কিটে স্টার্ক-কামিন্সদের বিকল্প খোঁজার যাত্রাটা দেরী হলেই বরং নেমে আসতে পারে ঘোর অন্ধকার। অ্যাশেজের এককালীন দাপটের স্রোতে নিশ্চয়ই গা ভাসিয়ে দিতে চাইবে না অজিরা।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link