৪১ বছরের তরুণ পিটার সিডল!

বয়স পেরিয়েছে ৪১, তবে বল হাতে এখনও দেখান তরুণের তেজ। বিগ ব্যাশের মঞ্চে পিটার সিডল যেন সময়কে নিজের বশে নিয়ে এসেছেন। ১৪০-এর ওপর গতি, সঙ্গে মিশে আছে ভয়ংকর আগ্রাসন, যা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক বিষয়। অথচ ২০২৪ সালের বিপিএলে নাম লিখিয়েও দল পাননি, বোধহয় ওই বয়সের কারণেই।

বয়স পেরিয়েছে ৪১, তবে বল হাতে এখনও দেখান তরুণের তেজ। বিগ ব্যাশের মঞ্চে পিটার সিডল যেন সময়কে নিজের বশে নিয়ে এসেছেন। ১৪০-এর ওপর গতি, সঙ্গে মিশে আছে ভয়ংকর আগ্রাসন, যা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক বিষয়। অথচ ২০২৪ সালের বিপিএলে নাম লিখিয়েও দল পাননি, বোধহয় ওই বয়সের কারণেই।

বিগ ব্যাশে গায়ে চাপিয়েছেন মেলবোর্ন স্টার্সের জার্সি। এই বয়সে সাধারণত দলের বোঝা হয়েই থাকেন অনেক খেলোয়াড়। তবে সিডল হেঁটেছেন ভিন্ন পথে, ফিটনেস, একাগ্রতা আর নিজের সক্ষমতা দিয়ে নিজেকে বানিয়েছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

রিশাদ হোসেনের হোবার্ট হ্যারিকেন্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন গত ম্যাচে। চার ওভারে ৩০ রানে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। দলের সেরা বোলিং ফিগারটা তাঁরই। নিখুঁত লাইন-লেন্থ দেখে এক মুহূর্তের জন্যও বোঝার উপায় নেই লোকটার বয়স আসলে কত! তিনি যেন সময়কে থামিয়ে দিয়েছেন। বয়স নয়, অভিজ্ঞতা নয়, মাঠে তাঁর পরিচয় কেবলই একজন ভয়ংকর ফাস্ট বোলার হিসেবে।

তবে এই সিডলকেই উপেক্ষা করেছিল বিপিএলের দলগুলো। ৩৯ বছর বয়সে নাম লিখিয়েছিলেন প্লেয়ার্স ড্রাফটে। খেলতে চেয়েছিলেন পুরো সিজন। তবে কেউ আগ্রহই দেখায়নি তাঁকে নিয়ে। অবশ্য কারণটা স্পষ্ট, বয়সই যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

যদিও বিপিএল ড্রাফটের বিস্ময় নতুন কিছু নয়। একই ড্রাফটে নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাকব ডাফিকেও নেয়নি কোনো দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যিনি এখন নিয়মিত পারফর্ম করছেন। সেখানে পিটার সিডলের মতো ‘বয়সী’ ক্রিকেটারকে না নেওয়াটা হয়তো বিপিএলের বাস্তবতায় খুব অবাক করার মতো নয়।

তবে পিটার সিডল আবারও প্রমাণ করছেন, বয়স কেবলই সংখ্যা। শরীর যদি সায় দেয়, মন যদি ক্ষুধার্ত থাকে, তাহলে ক্রিকেটার কখনোই পুরোনো হন না। ৪১ বছর বয়সে এসে যেভাবে তিনি তরুণ ব্যাটারদের চোখে চোখ রেখে বল করছেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link