‘অসম্মান’ করে বাদ দেওয়া হয়েছে গিলকে

সব মিলিয়ে, ফর্মের অভাব ও টিম কম্বিনেশন — এই দুই চাপে শুভমান গিলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন আপাতত থেমে গেল। তবে ভারতের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নেতা এই ব্যাটার কীভাবে ঘুরে দাঁড়ান, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

শনিবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হলেও শুভমান গিলের ভাগ্য আসলে সেদিন ঠিক হয়নি। তাঁর অনেক আগেই গেল বুধবার থেকেই তিনি টি-টোয়েন্টির ভাবনায় ছিলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ টি–টোয়েন্টি ম্যাচটি ঘন ধোঁয়াশার কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার দিনই—নাকি সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল, বিশ্বকাপের দলে গিল থাকছেন না।

বিসিসিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, সেই সিদ্ধান্তের কথা শনিবার সকাল পর্যন্ত গিলকে সরাসরি জানানোই হয়নি। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান, অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব কিংবা প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর—কেউই নাকি তাকে বিষয়টি অবহিত করেননি তাঁকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভারতের দুই সংস্করণের অধিনায়ক গিল অসম্মানিত বোধ করেছেন।

এর মধ্যেই হঠাৎ খবর ছড়ায়, ব্যাটিংয়ের সময় পায়ের আঙুলে চোট পেয়েছেন গিল। তখন থেকেই ক্রিকেটমহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে—ভেতরে ভেতরে কি অন্য কিছু ঘটছে? ভেতরের খবর হল, গিলের জায়গা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট এর আগেই সামনে এগিয়ে গেছে।

সূত্রের দাবি অনুযায়ী, গিল আসলে আহমেদাবাদের ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন। চোট ততটা গুরুতর ছিল না। শুরুতে মেডিকেল টিম হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচারের আশঙ্কা করলেও স্ক্যানে ধরা পড়ে, সেটা সামান্য চোট। ব্যথানাশক ওষুধ নিয়ে মাঠে নামাও সম্ভব ছিল। তবু তাকে বাইরে বসানো হয়—যা অনেকের চোখে ছিল বিদায়ের রাস্তা তৈরি করার প্রথম ইঙ্গিত।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচে মোটে ৩২ রান করেছিলেন গিল। এক বছরের পারফরম্যান্সও খুব একটা উজ্জ্বল নয়। সেই বাস্তবতায় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব আপাতত রেহাই পেলেও, সহ-অধিনায়ক গিলকে বেশ নির্মমভাবেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকরের বক্তব্যে এক ধরনের দ্বিধার আভাস ছিল। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সবাই জানে গিল কতটা মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। তবে এই মুহূর্তে ও একটু রান খরায় ভুগছে। আগের বিশ্বকাপেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ও বাদ পড়েছিল কম্বিনেশনের কারণে। এবারও মূলত কম্বিনেশনের প্রশ্নই এসেছে। ১৫ জনের দলে কাউকে না কাউকে বাদ পড়তেই হয়, আর এই মুহূর্তে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই নামটাই গিলের।’

সব মিলিয়ে, ফর্মের অভাব ও টিম কম্বিনেশন — এই দুই চাপে শুভমান গিলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন আপাতত থেমে গেল। তবে ভারতের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নেতা এই ব্যাটার কীভাবে ঘুরে দাঁড়ান, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

Share via
Copy link