সর্বশেষ আসরে শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। সেই দলটায় খুব বেশি পরিবর্তনের নিশ্চয়ই প্রয়োজন নেই। তাইতো ২০২৬ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আসরকে সামনে রেখে হওয়া মিনি নিলামে নিশ্চুপই ছিল পাঞ্জাব। অবশ্য যথাযথ কারণও ছিল তাদের জন্য। কেননা তাদের ঝুলিতে অবশিষ্ট ছিল মোটে ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপি।
দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়কেই ধরে রেখেছিল পাঞ্জাব কিংস ফ্রাঞ্চাইজি। স্রেফ চারটি ফাঁকা স্থান পূর্ণ করতে হতো তাদেরকে। সেই ফাঁকা স্থান পূরণে দু’জন অস্ট্রেলিয়ানকে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব। অবশিষ্ট বাজেটের ৭ কোটি ব্যয় হয়েছে তাদেরকে দলে নিতেই। বেন দ্বারশুইসকে দলে টেনেছে তারা ৪ কোটি রুপির বিনিময়ে।
অন্যদিকে বিগব্যাশে দ্যুতি ছড়ানো কুপার কনোলিকে মাত্র ৩ কোটিতেই পাঞ্জাবের ডেরায় নিয়ে এসেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। বিশাল নিনাদ ও প্রবীন দুবেকে ভিত্তিমূল্যে দলে নিয়ে তারা নিজেদের ২০২৬ সালের স্কোয়াড পূর্ণ করেছে। নতুন খেলোয়াড়দের মধ্যে কুপার কনোলির একাদশে সুযোগ পেতে খানিকটা সময় লেগে যাবে।

কেননা গেল আসরে প্রাভসিমরান সিং ও প্রিয়াংশ আরিয়ার ব্যাটের উপর ভর দিয়েই ফাইনাল অবধি পৌঁছেছিল পাঞ্জাব কিংস। তাইতো ওপেনিংয়ে শুরুতেই বদল নিশ্চয়ই আনতে চাইবে না পাঞ্জাবের টিম ম্যানেজমেন্ট। শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বাধীন দলের একাদশ গেল আসরের হুবুহু কপি হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্বারশুইস ও লোকি ফার্গুসনের মধ্যে বদল আসতে পারে টুর্নামেন্টের যেকোন পর্যায়ে। অন্যদিকে মাইকেল ওয়েন ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের মধ্যেও হতে পারে সাফল। এছাড়া মার্কাস স্টোয়িনিস, নেহাল ওয়াধেরা, শশাঙ্ক সিং, মার্কো ইয়ানসেনদের নিয়মিত দেখা যাবে পাঞ্জাবের একাদশে।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে আর্শদ্বীপ সিং ও যুজবেন্দ্র চাহালও একাদশের ধ্রুব চিত্র। ইম্প্যাক্ট সাব হিসেবে হারপ্রীত ব্রারের অন্তর্ভুক্তি কমাবে স্পিন সংকটের দুশ্চিন্তা। আপাতদৃষ্টিতে পাঞ্জাবের স্কোয়াড শক্তপোক্ত। এবারও তারা ফাইনাল খেলার দিকেই রাখবেন মনোযগ, শিরোপা জয় থাকবে তাদের প্রধান লক্ষ্য।

রিকি পন্টিং ও শ্রেয়াস আইয়ার জুটি, পাঞ্জাবের শিরোপা চির ধূসর বেদনার অবসান ঘটাতে পারবেন বলেই হয়ত বিশ্বাস সকলের। গত আসরে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবার তবে কি পাঞ্জাবের পালা?











