ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ। দ্বাদশ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম অর্ধশতক হাঁকালেন পারভেজ হোসেন ইমন। ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে জানান দিলেন রঙিন এক অধ্যায়ের। রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সের বোলারদের তুলোধুনো করলেন বা-হাতি এই ব্যাটার। মাত্র ২৮ বলে ইমন পেরিয়েছেন অর্ধশতকের মাইলফলক। শেষ অবধি ৩৩ বলে ৬৫ রান নিয়ে তিনি থেকেছেন অপরাজিত।
সিলেট টাইটান্সের হয়ে নতুন রোলে বাইশ গজে এলেন পারভেজ হোসেন ইমন। টপ অর্ডার ব্যাটার নন, বরং মিডল অর্ডারের নেতা হিসেবে পাঠানো হয় তাকে। নতুন দায়িত্বেও টলাতে পারেনি ইমনের আগ্রাসনকে। চিরাচরিত ধারাতেই চলেছে তার ব্যাট। বাউন্ডারির মূর্ছনায় তিনি মাতিয়েছেন সিলেটের দর্শকদের।

এদিন অবশ্য ইমন আত্মবিশ্বাসী শুরুটা করতে পারেননি। ব্যাটে-বলে তার সংযোগটা ঠিকঠাক হয়নি। তবুও তার ব্যাট সুইং বলকে আছড়ে ফেলেছে বাউন্ডারির ওপারে। শুরুতে খানিকটা ধাতস্ত হতে সময় লেগেছে তার। সন্দীপ লামিচানের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বাউন্ডারির উৎসব শুরু করেন তরুণ এই ব্যাটার।
গোটা ইনিংসে মোট ৯টি বাউন্ডারি এসেছে তার ব্যাট থেকে। যার মধ্যে, ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তিনি শক্ত করেছেন সিলেট টাইটান্সের ভীত। তার উপর যতটুকু আস্থা ছিল ফ্রাঞ্চাইজিটির, প্রথম ম্যাচেই দিয়েছেন প্রতিদান। দারুণ ব্যাটিংয়ে সিলেটের সংগ্রহকে নিয়ে গেছেন ১৯০ রান অবধি। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের প্রত্যাশা পূরণে তিনি রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। ১৮০ রানের প্রত্যাশা করেছিলেন সিলেটের অধিনায়ক।

প্রায় ১৯৭ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। বিপিএলের সূচনা এর থেকে শুভ কায়দায় করা অসম্ভব। বিপিএলের পরেই অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে এই ইমনদের উপর থাকছে দায়িত্বভার। তাদের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ এবারের দ্বাদশ বিপিএল। যার পূর্ণ ফায়দা তুলে নেওয়ার বার্তাই দিয়ে রাখলেন পারভেজ হোসেন ইমন।











